ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

রূপপুরের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ ও স্থাপন শেষ

রূপপুরের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ ও স্থাপন শেষ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ ও স্থাপনকাজ শেষ হয়েছে। ছবি: ঈশ্বরদী প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:১০

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ ও স্থাপনকাজ শেষ হয়েছে। ইউনিটটি চালুর জন্য শুরু হয়েছে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বৃহস্পতিবার প্রকল্প সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রোসাটম জানায়, গত বুধবার রাতে কাজ শেষ হয়েছে। তবে আজ থেকে ইউনিটের সব যন্ত্রপাতি ও এর কার্যক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো রিঅ্যাক্টর কুল্যান্ট পাম্পগুলো চালু ও পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনো পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবহার ছাড়াই ইউনিটের সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। নকশার মানদণ্ড অনুযায়ী সব সরঞ্জামের কার্যক্ষমতা নিশ্চিত হওয়ার পর স্টার্টআপ (প্রাথমিক কার্যক্রম) পরিচালনে যাবে বিদ্যুৎ ইউনিটটি।

রোসাটমের প্রথম উপমহাপরিচালক এবং এএসইর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই পেত্রোভ বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের স্টার্টআপের জন্য আমরা চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এ সময় সব অপারেটিং মোডে ইউনিটের প্রসেস সিস্টেমের কার্যদক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আমরা ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর অর্পিত সব দায়িত্ব পালন এবং প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। এটি থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশেষভাবে লাভবান হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করবে প্রকল্পটি।’

রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রোসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাক্টর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

আরও পড়ুন

×