ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলায় পাজামা পেঁচিয়ে মারা হয় স্কুলছাত্রী কল্পনাকে: পুলিশ

আসামি নুর জামালকে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা- সমকাল
পাবনা অফিস ও চাটমোহর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০:৫৭
পাবনার চাটমোহরে স্কুলছাত্রী কল্পনা খাতুন (৯) হত্যা মামলার আসামি নুর জামাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি স্বীকার করেন, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলায় পরনের পাজামা পেঁচিয়ে হত্যা করার পর কল্পনার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পাবনা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রেজিনূর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আসামি নুর জামাল চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চর মথুরাপুর গ্রামের আনিসুর রহমান মল্লিকের ছেলে। শুক্রবার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার চর-মথুরাপুর গ্রামের তাছলিমা বেওয়ার মেয়ে ও গুনাইগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী কল্পনা খাতুন গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মথুরাপুর সেতু এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুনাইগাছা ইউপির পৈলানপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর লিচু বাগানের মধ্যে লাশ পাওয়া যায়। পরদিন কল্পনার মা চাটমোহর থানায় হত্যা মামলা করেন। পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের নির্দেশনায় রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নূর জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে গলায় ফাঁস দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কল্পনার পাজামা, প্রিন্টের জামা, সোয়েটার ও একজোড়া বার্মিজ স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নুর জামাল অপরাধ স্বীকার করে জানান, ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দহপাড়া খানকা শরিফে ইসলামী জালসা ছিল। রাত সাড়ে ৭টায় তিনি ৫০ টাকার গাঁজা কিনে সেবনের পর বাড়ির দিকে রওনা হন। পথে শিশু কল্পনা খাতুনকে বসে থাকতে দেখে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে শিশুটির প্রতিবেশী চাচা নুর জামাল। কিন্তু বাড়ির রাস্তায় না গিয়ে বিকৃত যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কল্পনাকে মোহাম্মাদ আলীর লিচু বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি চিৎকার করলে লোকজন জেনে যাবে ভয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য পরনের পাজামা খুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।