বিজয় উদযাপনে অনন্য বালিগাঁও

মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরপাড়ের বালিগাঁও এলাকায় বিজয় উৎসবের র্যালি সমকাল
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:২২
রাজনগরের কাউয়াদীঘি হাওরপাড়ের সবুজে ঘেরা গ্রাম বালিগাঁও। প্রতিবছর ডিসেম্বর এলেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ গ্রামে বিজয় দিবস উদযাপন এক অনন্য উৎসবে পরিণত হয়।
দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে খুব বিশেষভাবে কোথাও বিজয় দিবস পালন করা হয় বলে নজরে আসে না। তবে এক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন বালিগাঁও। গত ২১ বছরে বিজয় দিবস পালনের এই আয়োজনকে অনন্য এক সংস্কৃতিতে পরিণত করেছেন এই গ্রামের মানুষ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর দু’দিনব্যাপী নানা আয়োজনে বালিগাঁওয়ে পালিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মদিন। রঙিন ফানুসের সঙ্গে দেশজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা হয়ে। যেখানে ওঠে আসে মহান মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীন বাংলাদেশের জাগ্রত গৌরবের নানা কথা।
এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দেশের পরিবর্তিত পটভূমিতে বালিগাঁওয়ের মানুষ বাংলাদেশকে তার শ্রেষ্ঠতম দিনে শুভেচ্ছা জানাতে কার্পণ্য করেনি। ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে পালন করা হয়েছে এবারের বিজয় দিবস। বিজয় মেলা উপলক্ষে গ্রামটির স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০টিরও বেশি দেশীয় খেলার প্রতিযোগিতা। একই সঙ্গে হরেক রকম পণ্যসামগ্রীর সমাহার ছিল মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে। বিজয় দিবসে বালিগাঁওয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। বিজয় মেলাকে ঘিরে এ জনপদের ঘরে ঘরে থাকে সাজ সাজ রব। এমনকি এই মেলা ও বিজয় উদযাপনে অংশ নিতে দেশে আসেন প্রবাসীরা।
স্থানীয়রা জানান, সর্বস্তরের গ্রামবাসী এই বিজয় দিবস পালনের আয়োজনে যুক্ত থাকেন। বালিগাঁও সাম্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা জানায়। উৎসব আয়োজন কমিটির সদস্য কবি মহিদুর রহমান জানান, এ গ্রামের মানুষ এই উৎসবের অপেক্ষা করেন বছরজুড়ে। দু’দিনব্যাপী উৎসব আয়োজনে অংশ নেন দেশ-বিদেশের বালিগাঁওবাসী। প্রবাসীদের অনুদান এবং অংশগ্রহণ থাকে উল্লেখ করার মতো। উৎসবে যোগ দিতে অনেকে এ সময় দেশেও আসেন। তাদের প্রত্যাশা, শুধু সৌজন্যতায় নয়, বালিগাঁওয়ের মতো বিজয় দিবসের উদযাপন হোক বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে।
বিজয় মেলা আয়োজনের প্রতিটি পরতে শ্রম আর মেধা নিয়ে যুক্ত থাকা সাংবাদিক তুহিন জুবায়ের জানান, দু’দিনে যেমন খুশি তেমন সাজ, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, কাবাডি, রশি টানা, কানামাছি, হাঁড়িভাঙা, দাঁড়িয়াবান্ধাসহ ৩০টির বেশি দেশীয় খেলার আয়োজন করা হয়।
- বিষয় :
- বিজয় দিবস