ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

পুলিশ কর্মকর্তা ছেলের প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণা-হয়রানি

পুলিশ কর্মকর্তা ছেলের প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণা-হয়রানি

ফাইল ছবি

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৪:০৪

বরগুনা সদর উপজেলার লতাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই দুলাল পুলিশ কর্মকর্তা ছেলের প্রভাব খাটিয়ে অন্যের জমি দখল, প্রতারণা ও হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল হাই।

সংবাদ সম্মেলনে হাচিনা বেগম নামে একজন জানান, আব্দুল হাই দুলালের কাছ থেকে ২০১২ সালের ১২ মার্চ বায়নাসূত্রে ১ একর ২ শতাংশ জমি কেনেন। টাকা নিলেও নানা কৌশলে জমির কবলা দলিল দেননি। পরে আদালতের শরণাপন্ন হন হাচিনা। বরগুনার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত দাতা হয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। এর পর থেকে জমি ভোগদখল করছিলেন ওই নারী। সম্প্রতি আব্দুল হাই তাঁর বর্গাচাষিকে ওই জমির ধান কাটতে নিষেধ করেন এবং ২০১৭ সালের একটি ভুয়া অঙ্গীকারনামা দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করেন। এ ব্যাপারে গত ১৫ ডিসেম্বর বরগুনার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত-১ এ আব্দুল হাইয়ের জাল-জালিয়াতির মামলা করেন হাচিনা। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা থানাকে এজাহারের নির্দেশ দেন।

আবুল কালাম গাজী নামে একজনের অভিযোগ, ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ আব্দুল হাই ১ একর ৬০ শতাংশ জমি ঠিকা পাট্টা হিসেবে বন্ধক রাখার শর্তে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। এর পর পেশিশক্তি এবং পুলিশ কর্মকর্তা ছেলে ও পুত্রবধূর প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি ভোগদখলে দেননি। জমি অথবা জমির টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন আব্দুল হাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন হারুন হাওলাদার, আব্দুল মালেক হাওলাদার, আনোয়ার হাওলাদার, অরুণ মৃধা, আল-আমিন প্রমুখ। তাদের দাবি, আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া যায় না। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল হাই বলেন, তারা আমার কিছু প্রতিপক্ষের পরামর্শে এসব অভিযোগ করছেন। জমিজমা এবং জালিয়াতির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। তাই আদালতেই সব ফয়সালা হবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল হাইয়ের ছেলে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না। অভিযোগকারীদেরও চিনি না। তবে শুনেছি, জমিজমার বিষয়ে মামলা চলছে। আদালত যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই মীমাংসা হবে। এখানে আমার প্রভাব খাটানোর বিষয়টি সত্য নয়।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম বলেন, অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×