অবশেষে তালা খুলল

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ফটকের তালা খোলা হয়েছে। ছবি: সমকাল
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬:৫৮
অবশেষে খোলা হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ফটকের তালা। আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তালা খুলে দেন। তবে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এখনো ঝুলছে তালা। আজও পরিষদে আসেননি চেয়ারম্যান। ফলে সকল ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ সোমবার ১১টা ৫৩ মিনিটের দিকে পরিষদ চত্বরে আসেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি এসে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় পরিষদ চত্বরে নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্মদিন উদযাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে অপসারণের দাবি জানান। এসময় তাঁদের দাবি পূরণে আশ্বস্ত করেন ওসি। তারপরে পরিষদের প্রধান ফটকের তালা খুলে দেন নেতারা। তবে দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত চেয়ারম্যান কক্ষের তালা খুলবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
দুপুর ২টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পরিষদে ছাদে উড়ছে পতাকা। প্রধান গেটসহ পরিষদের অন্য কক্ষ খোলা থাকলেও চেয়ারম্যানের কক্ষে ঝুলছে তালা। আর কক্ষে বসে সচিব গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
এসময় চৌরঙ্গী বাজারের মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক ইয়াসির আরাফাত বলেন, ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ। নবায়ন করার জন্য এসেছি। তবে চেয়ারম্যান না থাকায় সেবা বন্ধ। ফিরে যাচ্ছি।
পরিষদের সচিব রেজাউল ইসলাম বলেন, পরিষদের তালা খুললেও চেয়ারম্যান কক্ষে তালা রয়েছে। চেয়ারম্যানও নেই। সেজন্য সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে সেবার কার্যক্রম চালু করা হবে।
যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আসাদ বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্মদিন উদযাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, আওয়ামী লীগের দোষর পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করায় কার্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানাতেও অভিযোগ দেওয়া হবে।
যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান ফোনে বলেন, কার্যালয়ে তালা থাকায় এবং পরিস্থিতি কিছুটা অশান্ত থাকায় পরিষদে যাওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পরিষদের তালা খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেবা চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, পরিষদে সেবা বন্ধ থাকার সুযোগ নেই। ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।