ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করায় ৪ জন গ্রেপ্তার

ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করায় ৪ জন গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫:৪০

ঈশ্বরদীতে এক মৎস্য খামারিকে আটকে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের পর তাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করা চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি।

গ্রেপ্তাররা হলো- পৌর শহরের মধ্য অরনকোলা এলাকার বাসিন্দা মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. রেবেকা সুলতানা, তার ছেলে মো. শাহরিয়ার ইসলাম রাতুল, একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান এবং বড়ইচারা গ্রামের মৃত রানা প্রামাণিকের ছেলে মো. সজিব হোসেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের মৎস্য খামার ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে এক নারীর মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ওই নারী অপহরণ চক্রের সদস্য। মুঠোফোনে ওই নারীর ডাকে রুহুল শহরের আলহাজ মোড় এলাকায় স্থানীয় মো. আতিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. মিজানুর রহমানের বাড়িতে যায়। পরে তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রুহুল আমিনের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এসময় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়।

পরে রুহুল আমিন তার মুঠোফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি তার বড় ভাই মকছেদ আলীকে জানালে পুলিশি সহায়তায় তাকে উদ্ধার ও চক্রটির চার সদস্যকে শনিবার রাতে আলহাজ মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রুহুল আমিন উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।

রুহুলের বড় ভাই মকছেদ আলী বলেন, আমার ছোট ভাই সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে বাসায় ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন পরিবারের সবাই। এরই মধ্যে রাতে মুঠোফোনে ছোট ভাই জানায় তাকে আটকে রাখা হয়েছে, তিন লাখ টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে এক লাখ টাকা দিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরে পুলিশি সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, একটি চক্র এই অপহরণ কার্যক্রমে জড়িত থেকে এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। উল্লিখিত রুহুল আমিনকেও কৌশলে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি করে এই চক্র। ওই এলাকায় গোপনে অসামাজিক কার্যকলাপও চলে আসছিল। এসব ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনাটি শোনামাত্রই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার ও চক্রটির ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার রাতে তাদের পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

×