ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন   

বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন   

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর একটি গ্রামে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করছেন মুসল্লিরা

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৩:২৬ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৩:২৭

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন হচ্ছে আজ। রোববার সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছেন এসব গ্রামের মানুষ।  

সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখিল শরীফের অনুসারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উৎসব পালন করে আসছি। দিনে দিনে মির্জাখিল শরীফের অনুসারীর সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে আলফাডাঙ্গার আরও তিনটি গ্রামে ঈদ জামাত শুরু হয়েছে। 
 
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, মাইটকুমরা, রাখালতলী, গঙ্গানন্দপুর, দুর্গাপুর এবং রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, কলিমাঝি, সুর্যোগসহ প্রায়   ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ তিনটি গ্রামের কিছু মানুষ একইসঙ্গে সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি, মাইটকুমরা জামে মসজিদ ও মাইটকুমরা নতুন মসজিদসহ চারটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। 

এ ব্যাপারে শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দু’টি ঈদ উদযাপন করে থাকেন। তারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। অপরদিকে সহস্রাইল দায়রা শরীফে ঈদের নামাজ শেষে আগত মুসল্লিদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।
 
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে ধর্মীয় বিষয় হিসেবে কোনো গোষ্ঠী বা কোনো পীরের অনুসারী হিসেবে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ঈদ উৎসব পালন করতে পারেন। 

আরও পড়ুন

×