আতশবাজির সময় বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দুজনের হাত-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত

নিহত রাফি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৮:২১ | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৮:৩৬
পটুয়াখালীতে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো এক পরিবারের। আতশবাজি করতে গিয়ে মোহাম্মদ রাফি নামের আট বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) রাতে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাফি পৌর নিউমার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এছাড়া একই দিন পৃথক ঘটনায় আতশবাজি করতে গিয়ে সদর উপজেলার হকতুল্লা এলাকায় আরও দুই কিশোরের হাত ও চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আহতরা হলেন, মো. বেলাল তালুকদার (১৬) ও তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বি (১৫)। তারা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঈদের নামাজ শেষে সকাল ৯টায় বায়তুল আমান জামে মসজিদ মাঠে রাফির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রাফির মামা মো. বাশার মিয়া জানান, রোববার মাগরিবের নামাজের পরে তাঁর ভাগনেকে আতজবাজি করতে নিষেধ করে তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। রাত ৮টার দিকে খবর পান আতশবাজি করতে গিয়ে রাফির শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তাৎক্ষণিক তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়ন সরকার জানান, আতশবাজির মাথার শিশার অংশ সরাসরি রাফির গলার শ্বাসনালীতে প্রবেশ করায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাফির পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আহতদের ফুফা সিদ্দিকুর রহমান জানান- চিকিৎসকদের মতে, বেলালের হাতের একটি অংশ কেটে ফেলতে হতে পারে।
নিহত রাফির মামা আবুল বাশার ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাফি তার বাড়ির পাশে আতশবাজি খেলছিল। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে পটকার অংশবিশেষ রাফির গলা ভেদ করে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে। রাফির গলা থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাৎক্ষণিক রাফিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। তা সত্ত্বেও বিভিন্নস্থানে নিয়মিতভাবে পটকা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো হচ্ছে এবং দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। যা জনসাধারণের জন্য উদ্বেগজনক।
- বিষয় :
- নিহত
- ঈদুল ফিতর
- ঈদুল ফিতর ২০২৫