জীববৈচিত্র্য ও বিপন্ন কাছিম রক্ষায় উদ্যোগ
সেন্টমার্টিনে বন্ধ্যা করা হচ্ছে ৩ হাজার কুকুর

ফাইল ছবি
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | ০৫:১১
সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও বিপন্ন কাছিম রক্ষায় বেওয়ারিশ তিন হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করা হচ্ছে। এ কাজ করতে গতকাল মঙ্গলবার ২৭ সদস্যের একটি দল সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন বিদেশিসহ ৫ জন পশু চিকিৎসক। অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া কুকুর বন্ধ্যাকরণের এ উদ্যোগ পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা ‘অভয়ারণ্য’।
অভয়ারণ্যের চেয়ারম্যান রুবাইয়া আহমদ জানান, কুকুর বন্ধ্যাকরণে ২৭ সদস্যের দল বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করবে। সেন্টমার্টিনের প্রতিটি ঘরে চার-পাঁচটি কুকুর পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে দুই বছর পর প্রতি ঘরে ২০টি কুকুর হবে। তখন সংকট আরও বাড়বে। কুকুর স্থানান্তর কিংবা নিধন আইনিভাবে নিষিদ্ধ। তাই কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথমে তিন হাজার কুকুরকে বন্ধ্যা করা হবে। কর্মসূচি কতদিন চালানো যাবে, তা নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপে লোকসংখ্যা ১০ হাজার ৭শ। কুকুর আছে সাত হাজারের বেশি। কুকুরের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে দ্বীপে ডিম পাড়তে আসা কাছিম কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো একটি প্রজাতির অনিয়ন্ত্রিত বংশবৃদ্ধিও প্রাকৃতিক খাদ্যচক্রের জন্য হুমকি বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর-কক্সবাজারের উপপরিচালক জমির উদ্দিন জানান, সেন্টমার্টিনে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে এক হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণের আওতায় আনা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউভিএস)’।
অভয়ারণ্য জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে তাদের কর্মীরা দ্বীপের উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মাঝেরপাড়া, পশ্চিমপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের ২০০ ঘরে গিয়ে কুকুরের জরিপ পরিচালনা করেন। জরিপ অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ পরিবারে কুকুর রয়েছে। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ বেওয়ারিশ কুকুর। তবে কোনো কুকুর বন্ধ্যাকরণ করা নয়।
- বিষয় :
- কুকুর
- সেন্টমার্টিন