ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু

বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু

ছবি:সমকাল

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২০:০০

বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াল দুই শিশু। প্ল্যাকার্ড হাতে মায়ের সঙ্গে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয় তারা। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকালে বোয়ালমারী পৌর সদরের ওয়াপদার মোড়ে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যার হত্যার প্রতিবাদ এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মা খাদিজা বেগমের সঙ্গে অংশ নেয় মারিয়া (১০) ও আলী মোল্যা (৮)। এ সময় তাদের মুখে ছিল বিষাদের কালো ছায়া। কথা বলতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়ছিল তারা। তাদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘এতিম ছোট্ট শিশুদের বাবার হত্যাকারীদের কঠোর বিচার চাই, ফাঁসি চাই।’ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি পরিবারের সবার নিরাপত্তার দাবিও জানায় তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহত দুলু মোল্যার ভাই আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, টুলু মোল্যা, বোন শাহিদা বেগম, ভাজতি জামাই কামাল হোসেন, ভাতিজি সোনিয়া বেগম প্রমুখ। 

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২১ মার্চ বোয়ালমারী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারগ্রামে আমির হোসেন মোল্যা ও কাশেম মোল্যার মধ্যে কথা কাটকাটি হয়। এর পরই কাশেম মোল্যার পক্ষের সিদ্দিক মোল্যা, লুৎফর মোল্যারা আমিরের ভাই ব্যবসায়ী দেলোয়ারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার গত রোববার বিকেলে মারা যান।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া ওয়াপদা মোড়ের ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা মফিজুল কাদের খান মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। তিনি দেলোয়ারের কলার ধরে চড় ধাপ্পড় মারছিলেন। এ সুযোগে খুনিরা দেলোয়ারকে কুপিয়েছে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে মফিজুল সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, গণ্ডগোল থামানোর জন্য গিয়েছিলেন তিনি। কাউকে ধরে রাখা বা মারধর করার অভিযোগ সত্য নয়। কে বা কারা দেলোয়ারকে মেরেছে তা তিনি জানেন না। তাঁর দাবি, আহত দেলোয়ারকে তিনি নিজে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি পক্ষ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছে। 

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সঠিক নয়। ২১ মার্চ গোলমালের পরই পুলিশ মামলা নিয়েছে। দুই আসামিকে ধরে চালান করলে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশ, র্যা বসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসামিদের খুঁজছে। আগের অভিযোগে মফিজুল কাদের খান মিল্টনের নাম ছিল না। এখন তারা মফিজুলের জড়িত থাকার কথা বলছেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন

×