ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বিলীন ঘরবাড়ি-জমি আতঙ্কে মানুষ

বিলীন ঘরবাড়ি-জমি আতঙ্কে মানুষ

তিস্তার ভাঙন

 রংপুর অফিস

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫ | ২৩:২৬ | আপডেট: ১২ মে ২০২৫ | ২৩:৩১

শুকনো মৌসুম চলছে। নদীতে তেমন পানিপ্রবাহ নেই। তার পরও ভাঙন থামছে না। 
লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই মাসে অন্তত ৫০ একর ফসলি জমিসহ ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। রংপুর-কাকিনা সড়ক থেকে ভাঙনের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। ভাঙন অব্যাহত থাকলে গঙ্গাচড়া উপজেলার শংকরদহ গ্রাম নিশ্চিহ্ন হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়বে সড়কও।
শংকরদহ গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অব্যাহত ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ভাঙনের শিকার করিম মিয়া বলেন, ‘নগদেভাঙনে হামার সউগ শ্যাষ হয়া গেইল বাহে। বাড়ি ভাঙিল, জমিগুলাও গেইল। পত্যেক দিনেই ভুট্টাক্ষেতসহ জমিগুলা নদীত ভাঙি যাইতোছে। এভাবে নদী ভাঙতি থাকলি গ্রামটাই শ্যাষ হয়ে যাবে।’
ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, শংকরদহ গ্রামে ৪৫০ পরিবারের বাস ছিল। কয়েক বছরে বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনে সব হারিয়ে পরিবারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকি ছিল ৮০ পরিবার। অসময়ে নদীভাঙনে গত দুই মাসে করিম মিয়া, আলীমুদ্দিন, আব্দুর রশিদসহ ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।
লক্ষ্মিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, অব্যাহত ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি হুমকির মুখে। ভাঙন এসে ঠেকেছে রংপুর-কাকিনা সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার দূরে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আসছে বর্ষায় হুমকিতে পড়বে সড়কটি। ভাঙন থেকে রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের 
নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ভাঙনরোধের কাজ করা হবে।
 

আরও পড়ুন

×