ঋণ নয়, যন্ত্রপাতি কেনায় ২৯৮ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ চান চসিক মেয়র

ছবি-সমকাল
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫ | ২২:৫৪
নগরের খাল ও নালা পরিষ্কার রাখতে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের পুরো টাকাটা সরকারি বরাদ্দ হিসেবে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সোমবার দুপুরে নগরের কালামিয়া বাজার ইসহাকেরপুল এলাকায় বির্জাখাল পরিদর্শনে গিয়ে সরকারের কাছে এই দাবি জানান তিনি। মেয়র জানান, নগরের ৫৭টি খাল ও ১৬০০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কার রাখার জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে ২০২২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল। প্রকল্পটির ১০০ কোটি টাকা কাটছাট করে ২৯৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিতে চায় সরকার।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটিতে ১৬০ কোটি টাকা ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে সরকার। সিটি করপোরেশন একটা সেবাদানকারী সংস্থা। ঋণ হিসেবে দিলে এটা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে ২৯৮ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে, সেটা পুরোপুরি সরকারি বরাদ্দ হিসেবে সিটি করপোরেশনকে দেয়া হোক। যদি বিনা সুদে বিনা ঋণে বরাদ্দ দেওয়া হয় জনগণ উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, ‘খাল-নালা পরিষ্কার রাখার জন্য যন্ত্রপাতির কোনো বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে আমাদের যে মেশিনগুলো আছে সেগুলো ১৫ থেকে ২০ বছরের পুরনো হয়ে গেছে। কাজ করতে গিয়ে ভেঙে গেছে। সেগুলো ঠিক করতে গিয়ে আমাদের যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে সেজন্য আমি ৩৯৮ কোটি টাকার যে প্রকল্প সেটা বারবার মন্ত্রণালয়ে কথা বলে অনুমোদনের চেষ্টা করেছি।’
বির্জা খাল ফের পরিষ্কার করবে চসিক
নগরের বির্জাখালটির একাংশ নিজস্ব অর্থায়নে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। তখন খালটি আবর্জনা ভরা ছিল। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় জন্মেছিল আগাছা। আজ সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সেখানে গিয়ে দেখতে পান খালের একাংশে ভাসমান আবর্জনা জমে আছে। খাল থেকে তোলা আবর্জনাও খালের পাড়ে পড়ে আছে।
এসময় স্থানীয়দের উদ্দেশে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জনগণকে ময়লা থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। সম্পূর্ণভাবে ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়নি। এখন এটা আমাদের পরিষ্কার করতে হবে। আগামীকাল থেকে আমাদের সিটি করপোরেশনের স্পেশাল দল আবার কাজ শুরু করবে। কারণ যে পরিমাণ পরিষ্কার হবে চিন্তা করেছিলাম, সেটা হয়নি।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘এটা জামায়াতে ইসলামী আমাদের কাছে চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। তারপরও যে পরিমাণ পরিষ্কার হওয়ার কথা, সেখানে আজকে দেখতে পাচ্ছি প্রচুর পরিমাণে ময়লা এখানে পড়ে আছে। সেটা আবার পরিষ্কার করতে হবে।’
এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।