৩০০ টাকা ভাড়ার দাবিতে ধর্মঘটে স্পিডবোট মালিকরা

৩০০ টাকা ভাড়া না মানায় কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে স্পিডবোট মালিকদের ধর্মঘট সমকাল
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫ | ২৩:৩৪
পাবনার কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা ভাড়া না মানায় সেবা বন্ধ করে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন স্পিডবোট মালিকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই নৌপথে বোট চলছে না। এতে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ১৫০ টাকা করে স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এর পর আর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। বোট পরিচালনা ব্যয় ও যাত্রীস্বার্থ বিবেচনায় বিআইডব্লিউটিএ ও বোট মালিকরা মৌখিকভাবে নির্ধারণ করে এতদিন ভাড়া আদায় করছিলেন। চলতি বছরের ৯ এপ্রিল বেড়া উপজেলার আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে স্পিডবোটের যাত্রী ভাড়া ২১০ টাকা নির্ধারণ করে বিআইডব্লিউটিএ। এ সিদ্ধান্ত মানেননি বোট মালিকরা। তারা ২৫৫ টাকা আদায় করেছেন। এবারের ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা ভাড়া আদায়ের দাবি তুলে ধর্মঘট করছেন তারা।
গত ২৯ মে বেড়া উপজেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে মতবিনিময় করেন। সভায় যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এর পরদিনই ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ না করলে স্পিডবোট বন্ধ রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বোট মালিকপক্ষ।
মঙ্গলবার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, স্পিডবোটগুলো এক পাশে বাঁধা। কাজীরহাট থেকে ঢাকা যাওয়া যাত্রীরা লঞ্চ-ফেরিতে পার হচ্ছেন। এ সময় ইকরাম, সাইফ, জহুরুলসহ বেশ কয়েজন জানান, বোট চালকরা যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমরা ৩০০ টাকা দিয়ে বোটে যাব না, লঞ্চ-ফেরিতে করে যাব।
বোট মালিক সমিতির সভাপতি রইস উদ্দিন জানান, ঈদে শুধু ঢাকা থেকে মানুষ আসে, খুব একটা যায় না। ঈদের পরে শুধু যায়। এ ক্ষেত্রে এক পাশ থেকে বোট খালি যায়। এ ছাড়া ছোট বোটে প্রতি ট্রিপে সাড়ে ৩ হাজার ও বড় বোটে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। একটি বোটে ১২ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া নিষেধ। এতে বোট মালিকদের লোকসান হয়। এত লোকসান দিয়ে বোট চালাতে নারাজ মালিকরা। তারা শুধু ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি না মানায় তারা নিজ উদ্যোগে আরিচা ও কাজীরহাট উভয় ঘাটে বোট বন্ধ রেখেছেন। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বোট বন্ধ রাখা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ নগরবাড়ী-কাজীরহাট ঘাট কার্যালয়ের পোর্ট কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াকিল বলেন, লাভ-লোকসান বিবেচনা করেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভাও করা হয়েছে।
- বিষয় :
- স্পিডবোট