ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

বাবুগঞ্জে মেলা ও যাত্রার প্যাণ্ডেল ভাঙচুর, আগুন দিলেন শতাধিক লোক

বাবুগঞ্জে মেলা ও যাত্রার প্যাণ্ডেল ভাঙচুর, আগুন দিলেন শতাধিক লোক

.

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫ | ০১:১৩

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন খেযাঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত যাত্রা চলছিল। সেখানে ঈদ আনন্দ মেলা করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শতাধিক লোক হামলা করে প্রথমে ভাঙচুর করে তারপর আগুন দেয়।

স্থানীয়রা জানান, কেদারপুর খেয়াঘাটের অদূরে পহেলা বৈশাখ থেকে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়। তখনও সেখানে যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নৃত্য ও রাতভর জুয়ার পরিচালনার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে মেলার অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ হয়। শুধুমাত্র যাত্রা চালানো হতো। যাত্রার আড়ালে রাতভর বিভিন্ন প্রকার জুয়া খেলার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে ঈদ আনন্দ মেলা নামে আরেকটি মেলা করার জন্য চলতি মাসের শুরুতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়। পুতুল নাচসহ মেলার বিভিন্ন প্রকার স্টল নির্মাণও সম্পন্ন হয়। ‘বরিশাল সোসাইটি’ নামে আরেকটি সংগঠন মেলার অনুমতি না দিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাল্টা আবেদন করেন। এনিয়ে কেদারপুর এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। পরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দেড় শতাধিক লোক হামলা করে। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে মেলার জন্য স্থাপন করা কাঠামো ও যাত্রা প্যাণ্ডেলে ভাঙচুর চালায়। পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বিশ্বাস সমকালকে বলেন, বৈশাখী মেলা বন্ধ হওয়ার পর রাতে শুধুমাত্র গানের আয়োজন হতো। শুক্রবার রাতে লোকজন সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।

মেলা কমিটির সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিজন সিকদার জানান, আগে বৈশাখী মেলা হয়েছিল। এরপর শুধুমাত্র গানের আয়োজন চলছিল। ঈদ আনন্দ মেলার অনুমতি না পাওয়ায় দুইদিন আগে কমিটিই সব বন্ধ করে দিয়েছে। পরে শুক্রবার রাতে কিছু উশৃঙ্খল লোক এসে স্থাপনাগুলো ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোা হয়েছে। তারা ফেরার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

আরও পড়ুন

×