ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

স্কাউটদের উদ্যোগে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে গেলেন ট্রেনযাত্রীরা

স্কাউটদের উদ্যোগে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে গেলেন ট্রেনযাত্রীরা

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে শনিবার যাত্রীর লাগেজ পার করে দিচ্ছেন স্কাউট সদস্য -সমকাল

 ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫ | ২৩:১৫

যাত্রীদের টিকিট দেখে তাদের আসন দেখিয়ে দিচ্ছিলেন কেউ। আবার ভিড় সামাল দিয়ে যাত্রীদের ট্রেনে উঠিয়ে দিচ্ছিলেন কয়েকজন। কারও কাঁধে বয়স্ক যাত্রীর লাগেজ। কারও হাতে ট্রেনের ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ লেখা বগির প্ল্যাকার্ড। গতকাল শনিবার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে একদল স্কাউট সদস্যকে এভাবেই যাত্রীর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়।
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষের ট্রেনযাত্রা সহজ করতে এবং ভিড় সামাল দিতে স্বেচ্ছাশ্রমে সেঞ্চুরী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ৩০ জন সদস্য ব্যতিক্রমী এ সেবা দিয়েছেন। এতে ঈদ শেষে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। 
স্কাউট সদস্যরা নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে সহায়তা করেন। এ ছাড়া ওভারব্রিজ পার হতে গিয়ে যেসব যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন, তাদের ব্যাগ-লাগেজ কাঁধে নিয়ে ট্রেনে উঠিয়ে দেন। 
সিনিয়র টিটিই আবদুল আলিম বিশ্বাস মিঠু বলেন, ঈদের পর কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের সামাল দিতে রেল কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হয়। এমন সময়ে স্কাউটের সদস্যরা সহায়তা করায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হয়েছে।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ থেকে বিরত থাকতেও মাইকে প্রচার চালিয়েছেন স্কাউটরা। সেঞ্চুরি স্কাউট গ্রুপের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল চিশতী, ইছামতি মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক সোহেল আহমেদ, পাকশী রেলওয়ে জেলা স্কাউটের সম্পাদক আসাদুজ্জামান, গ্রুপ সম্পাদক আল-আমিনসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইছামতি মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক সোহেল আহমেদ বলেন, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার সময় রেলপথে ও স্টেশনে মানুষের ভোগান্তি হয়। তাদের জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈশ্বরদী স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০টি ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। 
স্কাউটদের এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, স্কাউট সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে সহায়তা করায় তারা মুগ্ধ।
 

আরও পড়ুন

×