যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অভিযোগকারী ৩ বোন। ছবি: সমকাল
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ | ২০:২৪
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় যুবদল নেতা মো. মাহফুজুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে ৬২ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ জমির মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
মঙ্গলবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বিধবা ৩ বোন। তারা হলেন- সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আজাহার আলী খানের মেয়ে নাদিরা আলম খান, শামীমা বেগম ও রানু বেগম। অভিযুক্ত লিটন বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা জোটবদ্ধ হয়ে তাদের জমি দখল করেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবদল নেতা লিটন। তার সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী জলিলসহ আরও কয়েকজন।
তারা জানান, বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের পাশে তাদের পৈত্রিক ৬২ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের মামলা রয়েছে। আদালতের রায় পেয়ে তারা জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলে দলটির কর্মী তৎকালীন ইউপি সদস্য আ. জলিলের সহায়তায় একাধিকবার জমি দখলের চেষ্টা চালানো হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তখন তা ব্যর্থ হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতিপক্ষ পরিবারের সদস্য যুবদল নেতা লিটনের নেতৃত্বে নতুন করে দখলচেষ্টা শুরু হয়। গত ১১ জুন তাদের বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর এবং দখলদাররা নতুন ঘর তোলা শুরু করেন।
তারা আরও জানান, বানারীপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দিলেও তা তোয়াক্কা করেননি দখলদাররা।
৩ বোনের অভিযোগ, পুলিশ আদালতের স্থিতাবস্থা আমলে নেয়নি। উল্টো দখলদারদের মামলায় তাদের পরিবারের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা লিটন জানান, অভিযোগকারী তিন বোন তার চাচাতো খালা। বিরোধপূর্ণ জমিটি উচ্চ আদালতের রায় পেয়ে সম্প্রতি তিনি রেকর্ড করেছেন। এতে প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তার ওপর হামলার মামলায় দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
দখলচেষ্টার সঙ্গে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ কর্মী জলিল জানান, তিনি বিএনপি করেন। আওয়ামী লীগ আমলে তাকে ওই দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। জমি-সংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গে তার কোনো
সম্পৃক্তা নেই। জমি বিক্রির জন্য লিটন বিএনপির কয়েকজনকে আমমোক্তারনামা দিয়েছেন। তারা কিছুদিন আগে ওই জমি দখল করেছেন।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ পেয়েছি সোমবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবদল নেতার নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে।
একপক্ষের দু’জনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে তিনি বলেন, জমি নিয়ে মারামারি ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।