সড়কে দুই শতাধিক মরা গাছে, চলাচলে ঝুঁকি

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বালিথা এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে মরা গাছ। নিচে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বুধবার তোলা ছবি সমকাল
মোকলেছুর রহমান, ধামরাই (ঢাকা)
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫ | ০১:২৫
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই অংশে সড়কের দুই পাশে দুই শতাধিক গাছ মারা গেছে। এসব গাছের অংশই ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো না সরালে বড় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া এলাকার মানুষের একমাত্র চলাচলের সড়ক এটি। একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রুবেল হোসেনের ভাষ্য, ‘আমরা নিয়মিত এ মহাসড়কের মরা গাছের নিচ দিয়ে কারখানায় যাতায়াত করি। যে কোনো সময় এগুলোর অংশ ভেঙে মাথায় পড়তে পারে। ঝড় বা বৃষ্টি হলে বেশি ভয় লাগে। দ্রুত এসব যেন কেটে ফেলা হয়।’
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের শুধু বালিথা এলাকাতেই বড় আকৃতির শতাধিক মরা গাছ দাঁড়িয়ে আছে। এই এলাকায় রয়েছে তিনটি পোশাক কারখানাসহ পাঁচটি শিল্প কারখানা। শ্রমিকরা এ মরা গাছের নিচ দিয়ে চলাচল করছেন। এসব গাছের নিচে শ্রমিকদের বহনকারী যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কারণে এসব মারা গেছে বলে মনে করছে বন বিভাগ।
কিছুদিন আগে ঝড়ের সময় মহাসড়কের পাশের একটি মরা গাছের ডাল প্রাইভেটকারের ওপর এসে পড়ে বলে জানান ধামরাইয়ের বালিথা-বাথুলি এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁর গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া বলেন, খাতরা থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ছোট-বড় তিন শতাধিক গাছ মারা গেছে। খাতরা এলাকার শতাধিক মরা গাছ কিছুদিন আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কেটে নিয়েছে। বালিথা এলাকার মরা গাছগুলো এখনও কাটা হয়নি। অনেক গাছে ঘুণপোকা আক্রমণ করেছে। যে কোনো সময় এগুলো ভেঙে পড়তে পারে যানবাহন ও পথচারীর ওপর।
মহাসড়কের পাশের গাছগুলো মারা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, বাসাবাড়ির বর্জ্য সড়কের পাশে ফেলছে। শিল্প কারখানা ও ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণেও এসব গাছ মারা যাচ্ছে। মহাসড়কের এক পাশের গাছ মারা গেলেও অপরপাশের গাছের কিছুই হয়নি। এমনটি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং কিছু গাছের অনেক বয়স হওয়ার কারণে এমন হতে পারে।
নয়ারহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহা বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাছগুলো কাটা বা লাগানোর দায়িত্ব আমাদের না। এগুলো আমাদের আরেকটা বিভাগের কাজ। তার পরও মরা গাছ কাটার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি।’
- বিষয় :
- গাছ