পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে আবারও বস্তায় বস্তায় টাকা

গণনা করা গচ্ছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকের টাকা। ছবি: সমকাল
কিশোরগঞ্জ অফিস
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২০ | ০৩:৫৫
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক সর্বশেষ খোলা হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার ৬ মাস ৭ দিন পর খোলা হয়েছে এসব দানসিন্দুক।
এ সময় সিন্দুকগুলোতে ১২ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমান স্বর্ণাংকার ও বিদেশি মুদ্রা মেলে। প্রথমে সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনার কাজ।
শনিবার সকাল ১০টায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এগুলো খোলা হয়।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এ টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পাগলা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি দানসিন্দুক এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়, যা দানবাক্সগুলো এ যাবৎকালের পাওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এবার করোনা পরিস্থিতিতেও দানসিন্দুকে বিপুল পরিমাণ দান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছিল।
বিকেল সাড়ে ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণনায় এক কোটি ৩২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে এডিএম মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা সমকালকে জানিয়েছেন। এছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। সন্ধ্যার আগেই জানা যাবে, এবার কত টাকা সিন্দুকগুলোতে দান হিসেবে পাওয়া গেল।
এদিকে পাগলা মসজিদে টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে দেখতে শহরের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মসজিদে ভিড় করেছেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর পর দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়।
- বিষয় :
- পাগলা মসজিদ
- দানসিন্দুক
- ঢাকা
- কিশোরগঞ্জ