ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কোচিং করতে এসে প্রাণ হারাল চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী

কোচিং করতে এসে প্রাণ হারাল চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী

ডালিয়া আক্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২০ | ০৯:২৩ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ | ১১:১১

করোনা মহামারিতে সরকারিভাবে স্কুল বন্ধ হলেও লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে কোচিং বাণিজ্য। করোনাকালে কোচিং করতে এসে শনিবার লোহার পিলার পড়ে গুরুতর আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ডালিয়া আক্তার (৯)।

শনিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং করতে আসে ডালিয়া। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের একটি লোহার পিলার হেলে পড়ে শিক্ষার্থী ডালিয়ার ওপর। এতে গুরুতর আহত হয়  সে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ডালিয়া রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের টিটু কবিরাজের মেয়ে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ডালিয়াকে স্কুল রুমে চিকিৎসার নাম করে এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। ডালিয়ার মৃত্যুতে তার সহপাঠী-স্বজনরা শোক ও সমবেদনা জানিয়ে শিক্ষকদের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং বন্ধের দাবি জানান।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কয়েকটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ৪-৫ জন শ্রেণিশিক্ষক দিয়েই চালু রেখেছে কোচিং। এতে আর্থিক সংকট ও করোনাভাইরাসের মধ্যে বাধ্য হয়েই ছাত্রছাত্রীদের কোচিং করতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক স্কুলশিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা পাঠদান করছেন। এতে অন্যায়ের কিছু আছে বলে মনে করেন না তিনি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন জানান, স্কুল বন্ধ থাকলেও চলছে কোচিং। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কী করে কোচিং চলে তা তদন্ত করা জরুরি। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন উত্তর চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কীভাবে কোচিং চলছে তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান রায়পুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার কেএম মুস্তাক আহমেদ।

আরও পড়ুন

×