নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: সোহাগ মেম্বারের জামিন ফের নামঞ্জুর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে (৩৫) বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি স্থানীয় একলাশপুর ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ মেম্বারের (৪২) দ্বিতীয় দফায়ও জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালাহ উদ্দিন অহমেদ সোহাগ মেম্বারের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, নারী নির্যাতন মামলায় ওই নারীর ২২ ধারায় জবানবন্দীতে ঘটনার সঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ মেম্বারের সম্পৃক্ততা থাকায় ও তার নাম উঠে আসার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে একলাশপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তার জামিনের আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাকে জেলা ও দায়রা জজ সালাহ উদ্দিন আহমদের আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় নিজে নিজের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক সোহাগ মেম্বারের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর তিনি প্রথম জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন। বিষয়টি দেখে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে রাত ১০টার দিকে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। ওই নারীকে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় নারীকে মারধর শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন করেন। গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েল দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর আগে আবুল কালামের সহযোগিতায় গৃহবধূর বাড়িতে ও বিলে নিয়ে নৌকার মধ্যে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন দেলোয়ার ও কালাম। এ ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে সোহাগ মেম্বারের সম্পৃক্ততা থাকার কথা বললে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।