ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

পদ্মা পারাপার: বাতিল কাঁঠালবাড়ি, নতুন ঘাট বাংলাবাজার

পদ্মা পারাপার: বাতিল কাঁঠালবাড়ি, নতুন ঘাট বাংলাবাজার

এবার কাঁঠালবাড়ি ঘাটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হবে বাংলাবাজার ঘাট- সমকাল

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২০ | ০৮:৫২

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ আর থাকছে না। এবার কাঁঠালবাড়ি ঘাটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হবে বাংলাবাজার ঘাট। এক সময় এই রুটের মাদারীপুর অংশের ঘাট ছিল কাওড়াকান্দি, মাঝে কাঁঠালবাড়ী, এখন তা বাংলাবাজার এলাকায় নেওয়া হয়েছে। এর আগে মাওয়া ঘাট স্থানান্তরিত হয়ে এসেছে শিমুলিয়া ঘাটে। 

বর্তমানে এ রুটটি দিয়ে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে পুরোনো ঘাট দিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল করছে। পুরোপুরি ঘাটটি সচল হতে আরও অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে।



সরেজমিন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতুর নদী শাসনের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটটি গত সোমবার 'বাংলাবাজার' এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। নতুন এ ঘাট আগের ঘাট থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। এ রুটের জন্য তৈরি করা হয়েছে 'হাজরা' নামে আরেকটি চ্যানেল। যেখান দিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে ছোট-বড় যে কোনো ফেরি। এ ঘাটটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে দেড় লাখ বর্গমিটার, যা নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। এ রুটেও চারটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই লঞ্চ ও স্পিডবোটের জন্য আলাদা পন্টুন নির্মাণ হবে। নতুন এ রুট চালু হওয়ায় আগের চেয়ে দুর্ভোগ কিছুটা কমবে, এমনটাই দাবি সংশ্নিষ্টদের।

সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শারফুল ইসলাম সরকার সমকালকে বলেন, পদ্মা সেতুর নদী শাসনের অসমাপ্ত কাজ করার জন্যই নতুন রুট তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে নদী তীরের মাদারীপুরের মাদবরেরচর থেকে কাঁঠালবাড়ী সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার মানুষ ব্যাপক নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। এর জন্য ইতোমধ্যে ১২ কিলোমিটার ডাম্পিং করে নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে। শুধু কাঁঠালবাড়ী এলাকার দেড় কিলোমিটার ঘাট থাকায় কাজ করা যায়নি। এখন বাংলাবাজার এলাকায় ঘাট আসায় ওই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এতে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের শিমুলিয়া ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার (মেরিন বিভাগ) আহম্মেদ আলী জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই রুটটিতে ১৯৯০ সালে কাওড়াকান্দি এলাকায় ঘাট নির্মাণ করা হয়। তারপর ২০১৭ সালে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে কাঁঠালবাড়ী এলাকায় নির্মাণ করা হয়। যেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে নতুন করে 'বাংলাবাজার' এলাকায় নতুন করে যাতায়াত শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার আব্দুল আলীম সকালকে বলেন, বাংলাবাজার এলাকায় ফেরি চলাচলের জন্য চারটি পন্টুন, লঞ্চ চলাচলের জন্যও চারটি পন্টুুন ও স্পিডবোট চলাচলের জন্য একটি ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে।

তবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া বারবার ঘাট সরাতে কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে সরকারের। এ নিয়ে যাতায়াতকারীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেলাল বিরজী বলেন, বারবার ঘাট পরিবর্তন না করে দীঘমেয়াদী পরিকল্পনা করলে সরকারের এত টাকা গচ্চা যেত না। বরং নৌপথ সচল রাখতে এ টাকা খরচ করা উচিত।

আরও পড়ুন

×