পুকুরে মাছ ধরতে নেমে মিলল কঙ্কাল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:৩৭
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নিখোঁজের দুই মাস পর এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে তার কঙ্কাল পাওয়া যায়। নিহতের নাম আলমগীর হোসেন বিশ্বাস। তিনি উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের কাতব আলী বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিবারের অভিযোগ, আলমগীরের বন্ধু একই গ্রামের শিপন আলী টাকার জন্য তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ হন আলমগীর (২৭)। সন্ধান না পেয়ে তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শুক্রবার সকালে আলমগীরের বাড়ির নিকটবর্তী উজ্জ্বল মোল্লার পুকুরে কয়েকজন মাছ ধরার জন্য কচুরিপানা পরিস্কার করছিলেন। কচুরিপানা সরাতে গিয়েই তারা কাদার মধ্যে কঙ্কাল দেখতে পান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন কাতব আলী। পোশাক দেখে তিনি শনাক্ত করেন কঙ্কালটি তার ছেলে আলমগীরের। পরে পুলিশ গিয়ে সেই কঙ্কাল উদ্ধার করে। তবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আলমগীরের প্রতিবেশীরা জানান, আলমগীর গরু পালতেন। এ কারণে সবসময় তার কাছে নগদ এক আধ লাখ টাকা থাকত। অবিবাহিত আলমগীর ১০ অক্টোবর আকস্মিক নিখোঁজ হন।
আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, একই গ্রামের শিপনের সঙ্গে আলমগীরের বন্ধুত্ব ছিল। আলমগীর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন একটি মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শিপন। সে সময় তার কাছ থেকে ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। আমাদের ধারণা, ওই টাকাগুলো আলমগীরের ছিল। টাকা হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করে লাশ গুম করে শিপন।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, এ ঘটনায় শিপন ও তার স্ত্রী ইভাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘাতক যেই হোক শিগগির তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
- বিষয় :
- চুয়াডাঙ্গা
- কঙ্কাল উদ্ধার
- নিখোঁজ যুবক