স্বামীর প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৪:০৪ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৫:০১
ভোলায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চুল কাটার পর মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত স্বামী সাইফুল ইসলাম বোরনউদ্দিনের দারুস সুন্নাত মডেল মাদরাসার শিক্ষক।
দৌলতখান উপজেলার লেজপাতা গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের মেয়ে খাদিজার সঙ্গে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ৮ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাইফুলের কর্মস্থল বোরহানউদ্দিনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন ওই দম্পত্তি। বর্তমানে ওই নারী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
খাদিজার অভিযোগ, আগ থেকেই তার স্বামী অন্য এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য মারধরও করা হয় তাকে। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে খাদিজাকে মারধর করে তার মাথার চুল কেটে আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং তাকে ঘরে রেখে বাইরে তালা দিয়ে সাইফুল মাদরাসায় চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বের হয়ে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন। খাদিজা আরও জানান, তার বাবা না থাকায় স্বামীর দাবিমতো যৌতুক দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রতিবাদ করেননি।
খাদিজার মা মনোয়ারা বেগম ও চাচা কয়সার আহম্মেদ জানান, মেয়েকে তারা অনেক কষ্ট করে মাদরাসায় পড়িয়েছেন। আলেম ছেলে দেখে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে এমন অমানিবক আচরণ তারা মানতে পারছেন না।
এদিকে পুত্রবধূকে নিতে এসে হতবাক হন সাইফুলের বাবা তৈয়বুর রহমান। বুধবার দুপুরে খাদিজাদের বাড়িতে বসে তিনি জানান, ছেলে তাকে বলেছে- খাদিজা রাগ করে চলে এসেছে। কিন্তু এসে পরিস্থিতি দেখে, ছেলের এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার চান তিনি।
বুধবার সকাল থেকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেছে। ভিকটিমের বাড়ি দৌলতখান থানায় হলেও ঘটনা ঘটেছে পাশ্ববর্তী বোরহানউদ্দিন থানায়। ওই থানার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।