দুটি কিডনিই বিকল
তরুণ শিক্ষক মাসুম বাঁচতে চান

তরুণ শিক্ষক মাসুম
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ১১:০০
পড়াশোনা শেষে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৮ বছর বয়সে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন মাসুম। চাকরি পাওয়ার ১০ মাসের মধ্যেই দেখা দেয় তার কিডনিজনিত জটিলতা।
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনসহ দেশের নানা হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায়, মাসুমের দুটি কিডনিই বিকল। কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষার সহকারী শিক্ষক আলতামাসুল ইসলাম মাসুম।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের দেইলগাঁও গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমান মাস্টারের দুই সংসারে চার ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে মাসুম সবার ছোট। সাড়ে তিন বছর ধরে প্রথমে প্রতি সপ্তাহে তিনবার এবং বর্তমানে দুবার কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে তার। এরই মধ্যে চিকিৎসা বাবদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। পৈতৃক ভিটা ছাড়া আর কোনো জমি অবশিষ্ট নেই মাসুমের। ভাইবোনেরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু এখন একেবারেই নিরুপায় তিনি। বর্তমানে মাসুমের কোনো উপার্জন নেই বললেই চলে। স্কুল থেকে ১৩ হাজার টাকা স্কেলে যে বেতন পেতেন, তার বিপরীতে ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নেওয়ায় কিস্তি পরিশোধেই সব টাকা চলে যায়। আত্মসম্মানের কথা ভেবে এত দিন আর্থিক দৈন্যের কথা কারও কাছে প্রকাশ না করলেও এখন নির্মম পরিস্থিতির শিকার তিনি। তার পক্ষে এখন কিডনি প্রতিস্থাপন কিংবা ডায়ালাইসিস করার খরচ কোনোটাই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বেঁচে থাকার আকুলতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে গিয়ে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করার যে খরচ (সম্ভাব্য ২৫ লাখ টাকা), তা জোগাড় করতে পারলে তিনি আবারও সুস্থ হয়ে উঠবেন। যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করতে চান তবে বিকাশ ও নগদ- ০১৯২০৪৪৬৬২৯ অথবা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, কাপাসিয়া শাখা, হিসাব নম্বর-২৩৭১৫১৭২৬১৬ টাকা পাঠাতে পারেন।