ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামে মানববন্ধনে বক্তারা

এক বছরে ২২ বন্যহাতির মৃত্যু, অধিকাংশই হত্যা

এক বছরে ২২ বন্যহাতির মৃত্যু, অধিকাংশই হত্যা

মানববন্ধনে বক্তারা- সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৮:৩৬

বন্যহাতি হত্যা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের প্রাণী সংরক্ষণকর্মী, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিপন্ন এশিয়ান হাতি রক্ষায় শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে 'প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় সম্মিলিত আন্দোলন' নামে একটি সংগঠন। 

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত এক বছরে দেশে ২২টি বন্যহাতি মারা গেছে। এর মধ্যে চলতি মাসে মারা গেছে চারটি হাতি। বেশিরভাগ হাতিই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তারা বলেন, হাতিগুলোকে গুলি করে, বিষ প্রয়োগ অথবা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এভাবে হাতি হত্যা করা হলে দেশ থেকে শিগগিরই এই প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ জন্য হাতি সংরক্ষণকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে সংরক্ষণ কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম মিঠু এবং সহযোগী সদস্য আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ।

মানববন্ধনে জানানো হয়, বন বিভাগ ও আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা-আইইউসিএনের সর্বশেষ জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এশিয়ান বন্যহাতি আছে ২৬৮টি। দেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি বনাঞ্চলে ৯৩টি পরিযায়ী হাতি বিচরণ করে। এ ছাড়াও সরকারের অনুমতিক্রমে দেশে ১০০টি পোষা হাতি আছে। কিন্তু দিন দিন মারা যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে, আর হাতির এই পরিসংখ্যান কমছে।

বক্তারা মানববন্ধনে পাঁচ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো বন্যহাতি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হাতির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, হাতির প্রাকৃতিক চলাচলের পথ, খাবার ও পানির উৎস রক্ষায় গহিন বনে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ, অভয়ারণ্যসহ বনে পর্যাপ্ত খাদ্যশৃঙ্খল গড়ে তোলা, বন্যপ্রাণী ও হাতির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ও কর্তব্যে অবহেলার ঘটনা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বন্যপ্রাণী আইন সংশোধন করে হাতির বাণিজ্যিক ব্যবহার স্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও প্রাণী কল্যাণ আইন যথাযথ কার্যকর করা।


আরও পড়ুন

×