ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মাদকাসক্ত তরুণকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ব্যতিক্রমী রায়

মাদকাসক্ত তরুণকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ব্যতিক্রমী রায়

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:২৭ | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ | ১১:১০

মাদকাসক্ত এক তরুণকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন বরিশালের একটি আদালত। অভিযুক্ত তানজীলকে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পরপরই রায় স্থগিত করা হয়। 

এই এক বছর তাকে মা-বাবার সঙ্গে থেকে তাদের সেবাযত্ন, ধর্মীয় অনুশাসন, মাদক ও ধূমপানবিরোধী প্রচার চালানোসহ ছয়টি শর্ত মেনে চলতে হবে।

বরিশালের অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ মঙ্গলবার ব্যতিক্রমী এ রায় দেন। আদালতে দেওয়া শর্তগুলো তানজীল মেনে চলছে কিনা, তা দেখভাল করবেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরিশাল মহানগর প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ।

রায়ের পর প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, উল্লিখিত রায়টি প্রবেশন আইন, ১৯৬০-এর ৫ ধারায় দিয়েছেন বিচারক। সব শর্ত মেনে চললে এক বছর পর তার (প্রবেশন কর্মকর্তা) দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত তানজীলের দেওয়া দণ্ডাদেশ মওকুফ করতে পারবেন।

সাজ্জাদ পারভেজ জানান, বন্ধুদের সঙ্গে ইয়াবা সেবনের সময় পুলিশ তানজীলকে পাঁচ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। গতকাল অভিযোগপত্র গঠনের শুনানির সময় তানজীল আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আদালতের অনুকম্পা চায়। বিচারক মাসুম বিল্লাহ তানজীলের বয়স বিবেচনায় এনে তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ করে দিতে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ছয়টি শর্ত দিয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত করেন।

শর্তগুলো হচ্ছে- সে কখনোই মাদক গ্রহণ করবে না; মাদক ও ধূমপানবিরোধী জনমত গঠনে ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করবে; মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের বিষয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ ও অন্যকে অনুপ্রাণিত করবে; পিতামাতার সেবাযত্ন ও ভরণপোষণের দায়িত্ব বহন করবে; এক বছরের মধ্যে ১০টি ফলদ ও ১০টি বনজ বৃক্ষরোপণ করবে; সমাজসেবার প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।

রায়ের পর তানজীল বলেছে, সে আগে ভুলপথে ছিল। আদালত তাকে সুযোগ দিয়েছেন। সুযোগটি কাজে লাগাবে সে। তানজীলের মা দুলু বেগম বলেন, তানজীল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। এরপরই সে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন

×