ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ফিশারি মালিকদের মাদক ব্যবসায় বাধা হওয়ায় খুন হন নৈশপ্রহরী মাতু

ফিশারি মালিকদের মাদক ব্যবসায় বাধা হওয়ায় খুন হন নৈশপ্রহরী মাতু

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ অফিস

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ | ১১:০২

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নে নিমকপুরুরা গ্রাম সংলগ্ন একটি মাছের খামারে নৈশপ্রহরীর চাকরি করতেন মাহতাব উদ্দিন মাতু (৬০)। সেই খামারের মালিকপক্ষ তাদের লোকজন নিয়ে মাতুকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ নৌকায় তুলে দশকাহনিয়া গ্রামের কাছে রেললাইনের পাশে ফেলে আসে তারা। 

মাদক ব্যবসা ও মাদকের আড্ডায় বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ফরহাদ হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট তাসলিম আক্তারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দেয়। মাতু হত্যায় ফরহাদসহ সাত-আটজন জড়িত ছিল।

কিশোরগঞ্জ জেলা পিবিআইর পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা নৈশপ্রহরী মাহতাব উদ্দিন মাতুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাতু মিয়ার ছেলে নূর উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ ডিসেম্বর কটিয়াদী থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এর পর গত ১৭ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। প্রায় দুই মাস পর এ হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করল তারা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর উপপরিদর্শক সুমন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার ভোরে দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আধঘণ্টা পর গ্রেপ্তার করা হয় খামারের আরেক মালিক ফালু মিয়ার ছেলে শহিদুজ্জামান সেলিমকে। মঙ্গলবার তাদের দু'জনকে আদালতে পাঠানো হলে ফরহাদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যে মঙ্গলবার রাতে খেলু মিয়ার ছেলে রইস উদ্দিন ওরফে লাইসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে কটিয়াদী থানা পুলিশ খামারের দুই অংশীদার আব্দুর রহমান ও বোরহানকে গ্রেপ্তার করে। তবে থানা পুলিশ মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, নৈশপ্রহরী মাছের খামারে যে মাদকের ব্যবসা ও মাদকের আড্ডা হতো, এগুলো জানতেন। প্রায়ই তিনি মালিকপক্ষের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতেন। এ কারণেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে মালিকরা।

চান্দপুর ইউনিয়নের নিমকপুরুরা গ্রামের মাছের খামারের মূল মালিক শহিদুজ্জামান সেলিম, আবদুর রহমান, মুজিবুর ও জসিম। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন অংশীদার রয়েছে। তাদের খামারে কাজ করতেন মাহতাব উদ্দিন মাতু মিয়া। 

পিবিআই জানায়, ৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নৈশপ্রহরী ফিশারিতে পাহারা দেওয়ার জন্য গেলে তাকে সেখানকার একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে সাত-আটজন দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

আরও পড়ুন

×