ছেঁড়া দ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে ধর্মঘট

ফাইল ছবি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ১০:০৬
প্রবাল রক্ষায় সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করেছেন দ্বীপবাসী। রোববার সকাল ৮টা থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ট্রলার চলাচল এবং দ্বীপের দোকানপাট বন্ধ করে তারা ধর্মঘট পালন করেন। সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির আয়োজনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ধর্মঘট চলে।
ধর্মঘটে স্পিডবোট, গামবোট, ইজিবাইক (টমটম), ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় কিছু বাসিন্দা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তবে এর আগে দ্বীপ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে কোস্টগার্ড ছেঁড়া দ্বীপে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা নয় হাজার। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় আরও তিন হাজার মানুষ বসবাস করছেন। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের আয়-রোজগারের একমাত্র উৎস হলো পর্যটন মৌসুম। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ছেঁড়া দ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করেছেন দ্বীপবাসী। এতে দ্বীপের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ অংশ নিয়েছেন। তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কক্সবাজারের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী এম ইব্রাহিম খলিল মামুন জানান, সবার উচিত আগে দ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা। সরকার আইনের কথা বলে এলেও স্থানীয় প্রশাসন সেটি বাস্তবায়ন করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। মানুষ অধিকার আদায়ের জন্য ধর্মঘট ডাকতে পারে, তাই বলে দ্বীপকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া যায় না। যদি দ্বীপ না বাঁচে সেখানকার মানুষ যাবে কোথায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, 'দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অংশ ছেঁড়া দ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।'
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অংশ ছেঁড়া দ্বীপে কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। এই প্রবালগুলো সংরক্ষণের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত বছরের ১২ অক্টোবর ছেঁড়া দ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধ সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয় কোস্ট গার্ডকে।