প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ১০:৩৪
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় দোকানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শিক্ষকের নাম সোহেল রানা (৩৫)। তিনি পুঠিয়ার মাহেন্দ্রা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলীর ছেলে। দোমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। সোহেল রানার পাঁচ বছরের মেয়ে ও দুই বছরের ছেলে আছে।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। তার চাচাতো ভাই ফিরোজ জানান, মাহেন্দ্রা বাজারে শিক্ষক সোহেল রানার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলী একটি জায়গা কিনেছিলেন। জায়গাটি একই গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও মাজেদুল ইসলাম নিজেদের দাবি করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এলাকায় এ নিয়ে একাধিকবার সমঝোতা বৈঠকও বসে। তবে কোনো সুরাহা হয়নি। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আবারও মাহেন্দ্রা বাজারে উভয়পক্ষ মীমাংসায় বসে। একপর্যায়ে ভাদু মিয়া, দুই ছেলে তাজুল ও মাজেদুল এবং তাদের সহযোগী জোবায়ের, সুলতান, ইকবাল ও এরশাদ লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই সোহেল রানা অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মারামারির ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সোহেল রানার বাবা বেলপুকুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ওইদিন আসামি মাজেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত শিক্ষকের বাবা অনেক দিন আগেই জমিটি কিনেছিলেন। ওই জমি তাদেরই দখলে ছিল। দোকানঘর বসানোর নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ হয়। এ ঘটনায় মারামারির মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
- বিষয় :
- লাঠির আঘাত
- স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু