ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে সহায়তা, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে সহায়তা, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

ইউপি সদস্য আবদুল হাকিম

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:০৮

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪ নং কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিক সনদ দিয়ে তিন রোহিঙ্গা যুবকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার সহায়তা করার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার গভীর রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার নাম আবদুল হাকিম (৩৭)। তিনি উপজেলার কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ও জয় নগর গ্রামের মৃত আলী আক্কাছের ছেলে। 

মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, তিন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ আবদুল আজিজ কক্সবাজারের উখিয়ার হাকিমপাড়া শরণার্থী শিবির থেকে সেনবাগে এসে কাদরা ইউপির জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদ নেন। এরপর ৬ নং ওয়ার্ডের নজরপুর ও সেনবাগ গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। ওই তিন যুবক চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানার এসআই আশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে সেনবাগ থানা পুলিশ আবদুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জন্মসনদ ও নাগরিকত্ব সনদ দিয়েছিলেন কাদের। ওই সনদ দিয়ে রোহিঙ্গারা সেনবাগের কাদরা ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ সোমবার রাতে আবদুল হাকিমকে এবং ৩-৪ মাস আগে সাবের নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় কাদরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুবকর ছিদ্দিক ওরফে জসিম মেম্বার পলাতক আছেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন

×