ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

চাঁদাবাজির অভিযোগে জেলে ৬ পুলিশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে জেলে ৬ পুলিশ

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ১০:৪০

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা মহানগর পুলিশের এসএএফ শাখায় কর্মরত ছিলেন। আনোয়ারা থানা পুলিশ এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। রোববার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তারা হলেন- কনস্টেবল আবদুল নবী, এসকান্দার হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসদু ও মোরশেদ বিল্লাহ। তাদের মধ্যে তিনজন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তার দেহরক্ষী ছিলেন।

চট্টগ্রাম আদালতের পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও অর্থ আদায়ে আনোয়ারা থানায় দায়ের মামলায় ছয় পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতে পাঠানো হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে আটজন পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আনোয়ারার পূর্ব বৈরাগী গ্রামে আমার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। পুলিশ পরিচয় পেয়ে আমি দরজা খুলে দিই। তারা আমার ভাইকে খুঁজে না পেয়ে আমার নামে মামলা আছে বলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। চারটি মোটরসাইকেলে করে পটিয়া থানার কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথা নামের এলাকায় নিয়ে একটি চা দোকানের সামনে বসায়। সেখানে মামলার নানা কথাবার্তা বলে ছাড়া পেতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। আমার কাছে এত টাকা নেই জানানোর পর তারা পাঁচ লাখ টাকা দিতে বলে। পরে তিন লাখ দিতে বলে। আমি আমার চাচাতো ভাইদের ফোন করে এক লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা তাদের হাতে তুলে দিই। তারা সেখান থেকে রাতে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পটিয়ার দিকে মোটরসাইকেলে করে চলে যায়। তার পরদিন এ ঘটনার কথা উল্লেখ করে আনোয়ারা থানায় আমি লিখিত একটি অভিযোগ দিই। এ চক্রটি আমাদের গ্রামের আরেক ব্যবসায়ী ফোরকান নামে একজনকে ফোন দিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়। তিনি তা ফোনে রেকর্ড করেন। দুটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে থানা পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ছয় সদস্যের সম্পৃক্ততা পান। এ ছয়জনকে আটক করার পর আমি মহানগর পুলিশের ডিবির এক শীর্ষ কমকর্তার বডিগার্ডকে শনাক্ত করি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। এক্ষেত্রে কেউ অপরাধ করলে তিনি যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

আরও পড়ুন

×