ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সালথায় সহিংসতা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি শামা ওবায়েদের

সালথায় সহিংসতা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি শামা ওবায়েদের

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ- সমকাল

ফরিদপুর অফিস ও সালথা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১ | ১০:৩৪

সালথায় সহিংসতায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। 

শনিবার সকালে ফরিদপুর শহরের চকবাজারে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

শামা ওবায়েদ বলেন, ৫ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ম্ফূর্ত আন্দোলন। এমনটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসী মনের দুঃখে ইমোশনাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত। এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এত তাণ্ডব চালাতে পারে তাহলে সবার কাছে এটি পরিস্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে এবং লালনপালন করছে। এভাবে সারাবিশ্বে তারা দেখাচ্ছে হেফাজত এই তাণ্ডব চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই এসব বন্ধ করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, সাবেক সহসভাপতি মোস্তাক হোসেন বাবলু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, শহর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এমটি আখতার টুটুল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ।

গ্রেপ্তার ৬১ : এদিকে, সালথায় সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ মামলায় ১৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা ও সালথা সার্কেল) 

সুমিউর রহমান সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার ৬১ জনের মধ্যে ১০ জন এজাহারভুক্ত আসামি। বাকি ৫১ জনকে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।


আরও পড়ুন

×