জাদু দেখানোর কথা বলে কোনাবাড়ীতে জোড়া খুন: পুলিশ

গাজীপুর ও কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১ | ০৩:৩৩ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১ | ০৩:৩৬
কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ পুর্বপাড়া এলাকায় জোড়া লাশ উদ্ধারের চারদিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোনাবাড়ী মেট্রো থানা পুলিশ। রোববার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জিএমপি’র উপ-কমিশনার জাকির হাসান।
ব্রিফিংয়ে উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, নিহতরা হলেন-মাহমুদুল হাসান (২০) এবং রাকিব হোসেন (১৮)। তারা কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ শাহানা বেকারীর কর্মচারী।
আর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-রাসেল প্রধান (২৫) এবং সৈকত সরকার (২৪)। এদের মধ্যে রাসেল শাহানা বেকারীতে কাজ করতেন।
তিনি আরও জানান, শাহানা বেকারীতে কাজ করার সময় মাহমুল হাসান, রাসেল প্রধান এবং রাকিব হোসেনের সাথে বন্ধত্ব সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন আগে মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নেয় রাসেল প্রধান । সেই পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ক্ষিপ্ত হয় রাসেল প্রধান। গত ৩ জুলাই তিন বন্ধু আমবাগ পুর্বপাড়া এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে জাদু দেখানোর কথা বলে রাসেল প্রধান কৌশলে মাহমুদুল হাসান ও রাকিব হোসেনের হাত-পা বেধে ফেলে। পরে মাহমুদুল হাসানকে পাশের বিলের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে রাসেল প্রধান। রাকিব এবিষয় অন্যদের বলে দেয়ার হুমকি দিলে তাকেও একটি সীমানা পিলার দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পড়ে দুইজনকে পানিতে ফেলে কচুরি পানা দিয়ে ডেকে রেখে পালিয়ে যায় রাসেল প্রধান।
এ ঘটনায় কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার ওঝা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে পুলিশ জানায়, রাসেল মাহমুদুল হাসানের মোবাইল ফোন সৈকতের কাছে বিক্রি করে পালিয়ে যায়। পরে সেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সৈকত ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়।
- বিষয় :
- কোনাবাড়ী
- জোড়া খুন
- গ্রেপ্তার
- রহস্য উদঘাটন
- জাদু দেখানো