বরিশালে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৩:২৪ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৩:২৪
বরিশালে যুবককে হত্যার দায়ে জিয়াউল হক লালন ও রিয়াদ সরদার নামের দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর চার আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বরিশাল জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের (বিশেষ আদালত) বিচারক টিএম মুসা এ রায় দেন। এছাড়া হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দশজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- বিপ্লব পাটনি, ওয়াসিম সরদার, মামুন ও ইমরান। দণ্ডিত সবাই জেলঅর উজিরপুর পৌর শহরের বাসিন্দা।
ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক বলেন, উজিরপুর উপজেলা শহরের ভিআইপি রোডে সোহাগ সেরনিয়াবাত নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা সোহাগকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
বিশেষ পিপি জানান, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ইমরান ছাড়া অন্য সব আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগোড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
হত্যা মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা সোহাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ও তাকে কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনায় সোহাগের মা শাহনাজ পারভীন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করলে আসামিরা আরও ক্ষুদ্ধ হয়। এরই জের ধরে ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোহাগকে তার বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কোপানো হয়। এতে সোহাগ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যাকারীরা আগে থেকেই সোহাগের বাড়ির সামনে ওৎ পেতে ছিল। সোহাগ মোটরসাইকেলে বাড়ির সামনে পৌঁছলে তার ওপর হামলা চালায় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় সোহাগের মামা খোরশেদ আলম মিন্টু বাদী হয়ে পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর উজিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতে ৩২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।।