ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা: কাদের মির্জার ৪ অনুসারী গ্রেপ্তার

আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা: কাদের মির্জার ৪ অনুসারী গ্রেপ্তার

ছয়টি জানালার কাঁচ ভাঙচুরের অভিযোগ করেন খিজির হায়াত খাঁন

নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২১ | ১০:১৯ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২১ | ১০:২৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, গুলি ও ভাঙচুরের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম। এর আগে গত ৯ অক্টোবর ওই বাড়িতে একই কায়দায় হামলা হয়েছিল।

রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন-চরকাঁকড়ার মো. রাকিব, বসুরহাট পৌর এলাকার শুভ কুমার দাস, আবদুল হাই ও উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের আবদুল কাইয়ুম। এর আগে সকালে খিজির হায়াত বাদী হয়ে ১৪ জনের নামে মামলাটি করেন। 

এই ব্যাপারে খিজির হায়াত বলেন, শনিবার নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় কোম্পানীগঞ্জ ও বসুরহাট আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে করা মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই হামলার নির্দেশ দেন কাদের মির্জা। এর পর কাদের মির্জার অনুসারীরা মুখোশ পরে তার বাড়িতে ১০ থেকে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় তারা বাড়ির ফটক ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে জানালার কাচ ভাঙচুর করে। ঘটনার সময় তিনিসহ বাড়ির সবাই আসবাবপত্র ও খাটের নিচে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। সকালে মামলা করার পর চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৮ মার্চ বসুরহাট বাজারে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা আমার ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়াও এক মাস আগে আরও একবার আমার বাড়িতে হামলা চালায় তার অনুসারীরা। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ নিয়ে দু’বার আমার বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলি চালাল কাদের মির্জার লোকজন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে আবদুল কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি। তার মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণের ঘটনায় করা মামলার আসামি।

এদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে রাতের আঁধারে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে মো. মানিককে প্রধানসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

×