ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

গোপালগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের একটি চিত্র।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১ | ০৩:০৪ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ | ০৩:০৪

গোপালগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই করে চালক জাহিদুল ইসলাম বাবুকে (১৬) হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ার নতুন চর গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে খালিদ ফকির, আনিচ ফকিরের ছেলে মো. বিপুল ফকির, শুকুর মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর গ্রামের মো. খলিল শেখের ছেলে মো. হাসান শেখ ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচাই গ্রামের মো. খোকন মোল্লার ছেলে মো. ফসিয়ার মোল্লা। তবে তারা পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খালিদ ফকির তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ফোন করে ইজিবাইক চালক বাবুকে গোপালগঞ্জ শহরের কাঁচা বাজার সংলগ্ন মেইন রোডে আসতে বলেন। পরে বাবু সদর উপজেলার গোলাবাড়ীয়া গ্রামের বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে কাঁচা বাজারে আসেন। এরপর থেকে বাবু নিখোঁজ ছিলেন। 

এরপর ওই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভুলবাড়ীয়া সড়কের পাশ থেকে বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ওই দিনই নিহতের বাবা মো. নজরুল মোল্লা বাদী হয়ে খালিদ ফকির ও রাজ্জাক মোল্লাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কাশিয়ানীর ব্যাসপুর গ্রামের মো. হাসান শেখের বাড়ি থেকে পুলিশ ছিতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করে। 

দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও  গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই আজিজুর রহমান ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে  পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক বৃহস্পতিবার ওই ৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

আদালতে সরকার পক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল রহমান খান মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের বাবা নজরুল মোল্লা বলেন, আমার ছেলেকে এই পাঁচ জনে হত্যা করে ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেয়। দীর্ঘ বছর পর আমি ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমরা খুশি। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়। কোনো বাবা যেন তার সন্তানকে এভাবে না হারায়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মোক্তার আলী বলেছেন, এই রায়ের মাধ্যমে এই পরিবারটি ন্যায্য বিচার পেয়েছে। আশা করি উচ্চ আদালতে এই রায় বহাল থাকবে। দ্রুত রায় কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন

×