যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ‘অনিয়ম’, চট্টগ্রাম বন্দরের দুই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ১১:২৭ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ১১:২৭
যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম ও ঊর্ধ্বতন অর্থ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সমকালকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশে বুধবার বিকেলে এই আদেশ জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার। এই ঘটনায় বন্দরের একজন পর্ষদ সদস্যকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ওমর ফারুক বলেন, ‘দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলাও ছিল। মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই মামলার আলোকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক চিঠি দিয়েছে। এটিরই অংশ হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের বহিস্কার করেছে। তদন্ত শেষে তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে গত ২৯ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত বিধি ভঙ্গ করে পাঁচটি অটো ভোল্টেজ রেগুলেটর ক্রয় করার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আলোকে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয় চিঠিতে। এই চিঠির পরই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরখাস্তের চিঠিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগসাজশে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে ক্রয়সংক্রান্ত সরকারি বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এই বিধি ব্যত্যয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা দায়ের হয়, হয় তদন্তও। এতে উম্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে দুদকের পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে দুই কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ বিবরণী পাঠানো হয়। দুজনেই জবাব দাখিল করেন। তাদের জবাব সন্তোষজনক মনে হয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে।
অপরাধ গুরুতর বিবেচনায় চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে আদেশে উল্লেখ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।