ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কালকিনিতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি-বোমা বিস্ফোরণ, আহত ২০

কালকিনিতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি-বোমা বিস্ফোরণ, আহত ২০

ভিটামিন নি ভিলেজ গড়ার লক্ষ্যে বিতরণ করা হচ্ছে গাছ

মাদারীপুর সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৫:৩৪ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৫:৩৪

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগরে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার জেরে আপাং কাজির গ্রুপ এবং কবির খা গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল থেকেই উভয় পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় ব্যাপক গোলাগুলিসহ প্রায় শতাধিক ককটেল-বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ জুলাই মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরাজ হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় আপং কাজীর লোকজন। পরে মিরাজের ভাই কবির খাঁ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে আপাং কাজীসহ ৩৫ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পরে থানা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪ ডিসেম্বর পা কাটা মামলার বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় আসামিরা। পরে স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর থেকেই উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। তারই জেরে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু'গ্রুপ। সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় মেরাজুল কাজী (১৯), মো. শহিদুল কাজী (৩৫), জাহাঙ্গীর কাজী (৬৫), শামীম (৩০) ও সারমিন (২৬) সহ প্রায় ২০ জন লোক আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে মেরাজুল কাজী, মো. শহিদুল কাজী ও জাহাঙ্গীর কাজীর অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আনিকা তাসনিম জানান, আমাদের এখানে কয়েকজন রোগী আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।  তাছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

আরও পড়ুন

×