ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
পাবনা অফিস ও চাটমোহর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | ১৩:২১ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | ১৩:২১
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্পর্শকাতর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই বছর ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, নির্যাতনের সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। নির্যাতনকারীর নাম বুলবুল আহমেদ বিপুল। সে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের গজারমারা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় তিন দিন ধরে বুলবুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই নারী। তবে শুক্রবার সকালে তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিষয়টি থানা পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের সূত্র ধরে চার বছর আগে বুলবুলের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার ওই নারীর প্রেম। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আটঘরিয়া উপজেলায় বুলবুল তার বড় বোনের বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এরপর থেকে বুলবুল তাকে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বুলবুলের চাপে পাঁচ মাসের ভ্রূণ নষ্ট করতে বাধ্য হন তিনি। তবে বেশকিছু দিন ধরে বুলবুল তাকে এড়িয়ে চলছে।
মঙ্গলবার বুলবুলের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি করেন ওই নারী। এ সময় বুলবুল বিয়ের করতে অস্বীকার করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তখন মণ্ডুতোষ ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী ও গ্রাম পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তবে বুলবুলের পরিবারের কারণে গত তিন দিনেও সমাধান হয়নি।
এদিকে ওই নারীর অবস্থানের পর থেকেই বুলবুলের বাবা ইসমাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার কাছে ঘুরতে থাকেন। পরে ওই আওয়ামী লীগ নেতার পরামর্শে শুক্রবার সকালে ওই নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বুলবুলের পরিবার। সে সময় ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।
ওই নারীর সঙ্গে কথা বললে তিনি তার ওপর হওয়া নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন।
তাকে মারধরের বিষয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নেই। তাই এক নেতার পরামর্শে ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি কোনোভাবেই ওই মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে মানব না।
ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, মেয়েটির নিরাপত্তায় গ্রাম পুলিশ রাখা হয়েছে। তার পরিবারকে বিষয়টি মীমাংস করে নিতে বলা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শুনেছি। বিট পুলিশং কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
- বিষয় :
- পাবনা
- ভাঙ্গুড়া
- ভিডিও ছড়ানোর ভয়
- ধর্ষণ
- ধর্ষণের অভিযোগ