কনডেম সেলে চুপচাপ প্রদীপ ও লিয়াকত

প্রদীপ দাশ ও লিয়াকত আলী (ডানে)
কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২২:০৫
কক্সবাজার জেলা কারাগারের আলাদা দুটি সেলে রাখা হয়েছে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। তারা সেখানে স্বাভাবিক রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে খাবারও গ্রহণ করছেন। এক কারা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা দু'জন একেবারেই চুপচাপ, কারও সঙ্গে কথা বলছেন না।
কারাগারের সুপার নেছার আলম জানিয়েছেন, জেলকোড অনুযায়ী এই দুই আসামিকে পৃথক সেলে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে অন্য কোনো কয়েদিকে রাখা হয়নি। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এই দুই আসামি এতদিন যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন, এখন তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, এই দুই আসামিকেও সোমবার থেকে তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার কারাগারে ফাঁসির আসামির দণ্ড কার্যকরের কোনো ব্যবস্থা নেই। কারাগার নির্মাণের সময় এখানে কোনো ফাঁসির মঞ্চ করা হয়নি। কনডেম সেল বলতে যা বোঝায়, তাও এখানে নেই। চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে এই ব্যবস্থা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগার সূত্র জানিয়েছে, প্রদীপ ও লিয়াকতকে গত সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারে আনা হয়। সেখানে নিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এর পর পৃথক সেলে নিয়ে সেলাইবিহীন জামা পরতে দেওয়া হয়।
কারাগারের অন্য বন্দিদের মতো তাদের খেতে দেওয়া হয় সাদা ভাত, মাছ ও সবজি। কনডেম সেলের আসামিরা মাসে এক দিন জেলগেটে গিয়ে দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় সোমবার বিকেলে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ দেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। রায় ঘোষণার সময় প্রদীপ ও লিয়াকত ছিলেন নির্বিকার। আদালত থেকে কারাগারে ফেরার পথেও তারা কোনো কথা বলেননি। এর পর কারাগারের দুটি আলাদা কনডেম সেলে রাখা হয় তাদের।