ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতা হত্যায় জামায়াতের ৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতা হত্যায় জামায়াতের ৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২২ | ০৪:৫৯ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২ | ০৪:৫৯

যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির পর আনন্দ উল্লাসের জেরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুল হুদা হত্যা মামলায় তিন সহোদর জামায়াত নেতাকর্মীর ফাঁসি এবং অপর এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরীর আদালত এই রায় দেন। চা দোকানে টিভিতে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় দেখে খুশি হয়ে আনন্দ প্রকাশ করার সময় তাকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্তরা।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া তিন ভাই হলেন- চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে ও বদরখালী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে লম্বা সিদ্দিক, তার ভাই জামায়াত কর্মী ইউনুস হোসাইন মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তফা আবু কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম। একই এলাকার নুরুল আজিজের ছেলে জামায়াত কর্মী সোহায়েতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শেফায়েত নামে মামলার অপর এক আসামিকে খালাস দেন আদালত।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান সমকালকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকে খুনের মামলায় আদালত মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দিয়েছেন। দণ্ডিত প্রধান আসামি আবু বক্কর ছাড়া বাকি তিন আসামি পলাতক।

মামলার বাদী নিহতের ছেলে মো. শাহজাহান বলেন, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের দিন চা দোকানে টিভিতে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর প্রচার হচ্ছিল। তা দেখে আমার বাবা বলতে থাকেন শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে সব রাজাকারের ফাঁসি দিচ্ছে। এ সময় চা দোকানে থাকা জামায়াত নেতাকর্মী ওই আসামিরা আমার বাবার কথায় ক্ষিপ্ত হন। ২০১৬ সালের ৩০ জুন তারা চা দোকান থেকে বাবাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। 

এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৩ জুলাই চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। চকরিয়া থানার এসআই মো. আলমগীর ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর তদন্ত শেষে পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, খুন হওয়া মো. নুরুল হুদা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন

×