এনআরবিসি ব্যাংক
উদ্যোক্তা মান্নানের বাজেয়াপ্ত শেয়ারের অবৈধ কেনাবেচা

ছবি: ফাইল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:৩৬
মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থে শেয়ার কিনে বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা হয়েছিলেন এবিএম আবদুল মান্নান। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁর শেয়ার বাজেয়াপ্তের ঘোষণা দিয়েছিল।
বাজেয়াপ্তকৃত ৪ কোটি ৭০ লাখ শেয়ার বিদেশে বসেই ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় ব্যাংকটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কয়েকজন বিএসইসিতে অভিযোগ করলে তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, এবিএম আবদুল মান্নানের ৪ কোটি ৭০ লাখ ১ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইসিএসডি বিভাগ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এ শেয়ার থেকে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের ব্যবসায়িক অংশীদার ও আত্মীয় শফীকুল আলম মিথুন ১ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৯২টি, আদনান ইমামের স্ত্রী নাদিয়া মোমিন ইমাম ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৪টি এবং শহীদুল আহসানের মেয়ে রেহনুমা আহসান ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১৫টি শেয়ার ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে কিনে নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী ছাড়াও ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন, সারোয়ার জামান চৌধুরী, ইজাহারুল ইসলাম হালদার, সাখাওয়াত আলী, তোহেল আহমেদ এবং উদ্যোক্তা পরিচালক সেলিনা ইসলাম এ বিষয়ে বিএসইসিতে লিখিত অভিযোগ করেন।
তাদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা আবদুল মান্নানের বিনিয়োগকৃত শেয়ারের অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া। তাছাড়া কোম্পানি আইন অনুযায়ী, উদ্যোক্তার শেয়ার কেনাবেচা বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে উদ্যোক্তা মান্নানের শেয়ার বিক্রি হলেও পর্ষদে আলোচনা হয়নি।
অভিযোগ পাওয়ার পর বিএসইসি সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন– মেহেদী হাসান রনি এবং মো. হাছান। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটি অভিযোগ বিষয়ে শুনতে আগামী ১৩ জানুয়ারি বিএসইসিতে ব্যাংকটির সাত উদ্যোক্তা এবং এক পরিচালককে হাজির হতে গত মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছে।
শেয়ারবাজার সংক্ষেপ
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকার শেয়ারবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দর বেড়েছে ১১৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের, কমেছে ২১৫টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৬৪টির। বস্ত্র ছাড়া বড় সব খাতের বেশির ভাগ শেয়ারদর হারিয়েছে।
বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমলেও প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৫১৮৫ পয়েন্টে নেমেছে। আগের দিনের তুলনায় মোট লেনদেন ১২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কমে ৩০৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
- বিষয় :
- ব্যাংক