ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের মান নির্ধারণ

কোলাজ
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ০২:০৩
ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের একটি সাধারণ জাতীয় মান নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এতে এ খাত আরও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। ভোক্তাদের আস্থা বাড়বে। এতদিন ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো মান ছিল না।
বিএসটিআইর কর্মকর্তারা জানান, ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের মান নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা হচ্ছিল। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। সে জন্য সরকার এ পণ্যের মান নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। মান নির্ধারণে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা
চূড়ান্ত করা হয়। এরপর ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের উৎপাদন ও বিপণনে সারাদেশের জন্য একটি একীভূত মান চূড়ান্ত করা হয়। শুরুতে এ মান ঐচ্ছিক হলেও সময়ের সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার বিএসটিআইর মান উইংয়ের উপপরিচালক (কৃষি ও খাদ্য) এনামুল হক বলেন, মান নির্ধারণের ফলে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস উৎপাদকদের নির্দিষ্ট কমপ্লায়েন্স পরিপালন করে পণ্য উৎপাদন করতে হবে। এতে ভোক্তাদের আস্থা তৈরি হবে। এ পণ্যের মান নিয়ে তাদের উদ্বেগ বা সন্দেহ থাকবে না। ফলে এ উদ্যোগে উৎপাদক, বিপণনকারী ও ভোক্তা সবাই উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তিনটি বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে মান নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে মান চূড়ান্ত করা হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, মানসম্মত ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসে অবশ্যই সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো নানা রকম খনিজ থাকা প্রয়োজন। কিছুদিন আগেও ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড ছিল না। অথচ পানীয় সারাবিশ্বেই জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের কদর রয়েছে।
আগামীতে রপ্তানির জন্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে তোলার উপযোগী করে মান নির্ধারণ করেছে বিএসটিআই। এ পানীয় খেলোয়াড়, অ্যাথলিট কিংবা যারা পরিশ্রমসাধ্য কাজ করেন, তারা বেশি পান করেন। বাংলাদেশে বৃহত্তর এনার্জি ও স্পোর্টস ড্রিংকস বাজারের প্রত্যাশিত সমন্বিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ বাজারের আকার আরও বাড়বে।
- বিষয় :
- বিএসটিআই