প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪ | ০১:৩৭
উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রকল্পে ঘুষ আদান-প্রদানকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। ১০ টাকার কাজে ৫ টাকা ঘুষ দিয়ে, বাকি ৫ টাকা দিয়ে কাজ করা চলবে না। এগুলো অবশ্যই কর্মকর্তাদের চোখে ধরা পড়তে হবে।
গতকাল বুধবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শোহেলের রহমান চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কথায় কথায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো চলবে না। এটি ভালোভাবে তদারকি করতে হবে। কোনো প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বাড়ানোর জন্য যখন আমার কাছে আসে তখন আমি এগুলো সংশোধনের আগে আইএমইডির প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’
পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, দেখেশুনে প্রকল্প নিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমি সব সময় আইএমইডির প্রতিবেদন দেখি। অনেক সময় দেখা যায়, একই ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক, ফিজিবিলিটি স্টাডিও ঠিকমতো হয় না। তিন বছরের প্রকল্প ১১ বছর লাগে, এটা চলবে না।’
প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের কাজ আগে করতে হবে। প্রকল্প ধরে বসে থাকলে চলবে না। দ্রুত কাজ করতে হবে। আইএমইডি রিপোর্ট সঠিক হতে হবে। নির্ধারিত সময়ে ও গুণতমানের বাস্তবায়ন করে জনগণকে সুবিধা দিতে হবে। তবে অনেক সময় জমি অধিগ্রহণ জটিলতা, ডলার পরিস্থিতিসহ কিছু বিষয় সরকারের হাতে না থাকায় প্রকল্প সংশোধন করতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাপানের সহযোগিতা পরিকল্পনায় সংশোধন: এদিকে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা পরিকল্পনায় কিছু সংশোধন আনছে জাপান। গতকাল পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালামের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাপানের নীতিমালা ও বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী অর্থায়ন করে পাশে থাকতে চান তারা। এ জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কিত জাপানের কান্ট্রি অ্যাস্টিস্ট্যান্স প্ল্যানে কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। কোন কোন খাতে কী ধরনের সহায়তা দরকার আলোচনার মাধ্যমে তা ঠিক করা হবে। সরকারের অগ্রাধিকার অনুযায়ী জাপান পাশে থাকবে।
- বিষয় :
- পরিকল্পনামন্ত্রী