ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কাঁচাবাজারে ক্রেতা কম, দাম স্থিতিশীল

কাঁচাবাজারে ক্রেতা কম, দাম স্থিতিশীল

ছবি-সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫ | ০৪:০২ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ | ১০:৫১

ঈদের পর রাজধানীর কাঁচাবাজারে এখনও জমে ওঠেনি বেচাকেনা। বাজারে যেমন ক্রেতার উপস্থিতি কম, তেমনি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পণ্য সরবরাহও। তবে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বেশ কমতির দিকে মুরগি ও ডিমের দাম। তবে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি রয়েছে মাছের বাজারে। গতকাল বুধবার বিকেলে কারওয়ান বাজার, তেজকুনিপাড়া ও নাখালপাড়া সমিতির বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

কারওয়ান বাজার হলো ঢাকার অন্যতম বড় পাইকারি বাজার। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, সবজির আড়তগুলো বেশ ফাঁকা। খুচরা বাজারেও একই অবস্থা। সবজি বিক্রেতাদের বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। মুদি পণ্যের কিচেন মার্কেটেরও বেশির ভাগ দোকান বন্ধ।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় ক্রেতা হাতেগোনা। ব্যবসায়ীদের অনেকেই বাড়ি থেকে ফেরেননি। ফলে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। পণ্য সরবরাহ কম। বেচাকেনা জমে ওঠেনি। এ কারণে জিনিসপত্রের দামও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঈদের দুই দিন আগে ও পরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সালাদ তৈরির উপকরণ শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়েছিল। এখন ধীরে ধীরে এসব পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।

গতকাল খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দাম ২৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে। যেমন, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ২৫-৩০, পেঁপে ৩০-৪০, ধুন্দল ২৫-৪০, চিচিঙ্গা ৩০-৩৫, পটোল ৩৫-৪০, বেগুন ৫০-৬০, বরবটি ৪০-৫০, টমেটো ও শসা ৫০-৬০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৭০ টাকা দরে।

একই পরিস্থিতি দেখা গেছে, মুরগি ও ডিমের বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ ও সোনালি মুরগির কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দোকানগুলোকে মোটামুটি ক্রেতার আনাগোনা ছিল। এ ছাড়া প্রতি ডজন ফার্মের ডিম কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লায় ডিমের ডজন কিনতে ক্রেতাকে কিছুটা বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। মহল্লার দোকানিরা ডিমের ডজন রাখছেন ১২৫ টাকা। কমবেশি সবার বাসায় কোরবানির মাংস থাকায় মাংসের দোকানগুলো বন্ধ দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা দুলাল হোসেন সমকালকে বলেন, ‘অনেকদিন ছুটি থাকায় মানুষ এখনও গ্রামে। বাজারে কাস্টমার কম। এ কারণে সব সবজির দাম কম।’ তবে আগামী শনি-রবিবার থেকে বেচাকেনা বাড়বে বলে মনে করেন এই ছোট ব্যবসায়ী।

তবে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে মাছের বাজার। বিশেষ করে আকারভেদে রুই-কাতলা মাছের কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাসের কেজি ১৮০ থেকে ২০০, তেলাপিয়ার কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। নাখালপাড়া সমিতির বাজারের মাছ বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, প্রতি বছর কোরবানি ঈদের পর মাছের দাম বেড়ে যায়। এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এ সময় উৎপাদন এলাকা থেকে ঢাকায় মাছ কম আসে। দ্বিতীয়ত, ঈদের পরে বেশির ভাগ বাসা-বাড়িতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। ফলে চাহিদা বেড়ে যায়। যে কারণে দাম বাড়ে।

আরও পড়ুন

×