ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গত অর্থবছরে রপ্তানি ৯% বেড়েছে

গত অর্থবছরে রপ্তানি ৯% বেড়েছে

কোলাজ

সমকাল প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ০১:২১ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ০১:৩০

সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির গতি ছিল বেশ সন্তোষজনক। আগের অর্থবছরের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ২২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ঈদের ছুটি ছিল ১০ দিন।

এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মীদের ধর্মঘটের কারণে শেষ দুই কর্মদিবসে রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এ কারণে জুন মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ বাস্তবতার মধ্যেই গড়ে ৯ শতাংশের মতো রপ্তানি আয় বেড়েছে গত অর্থবছরে। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে, রপ্তানির পরিমাণের দিক থেকেও সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের রপ্তানি আয় গত তিন অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থবছরটিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এর চেয়ে বেশি ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার রপ্তানি থেকে আয় এসেছিল। অবশ্য ওই অর্থবছর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ে গোঁজামিলের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির সংশোধিত হিসাবমতে, গত ১০ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেশি দেখানো হয়েছে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। 

ইপিবির প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরের ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে একক পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাক থেকেই এসেছে ৩ হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার। বাকি সব পণ্য থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৯৯৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে গত অর্থবছর তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় বেড়েছে ২২০ কোটি ডলারের মতো। অবশ্য ঈদের ছুটির কারণে গত জুনে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। রপ্তানি হয় ২৭৯ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য। 

জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ও হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম শামসুদ্দিন সমকালকে বলেন, ঈদের ১০ দিনের ছুটির কারণে জুনে রপ্তানি কম হয়েছে। এর মধ্যে অন্য আর কোনো কারণ নেই। ছুটির কারণে পণ্য জাহাজীকরণ কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে আবার সেটা পুষিয়ে যাবে। জুনে কমলেও চলতি জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বেশ বাড়তে পারে। কয়েক মাস ধরে ব্র্যান্ড ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ভালো সাড়া  পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। 

গত অর্থবছর চামড়া ও চামড়াপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। রপ্তানি হয় ১১৫ কোটি ডলারের পণ্য। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। রপ্তানি হয় ৯৯ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য। পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি ৪ শতাংশ কমে রপ্তানি ৮৫ কোটি ডলারে। হোমটেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানি হয় ৮৭ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের হোমটেক্স পণ্য। এ ছাড়া হিমায়িত মাছ এবং চিংড়ির রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। রপ্তানি হয় ৪৪ কোটি ডলারের পণ্য। এসব বড় পণ্যের বাইরে রপ্তানি তালিকার প্রায় সব পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে গত অর্থবছর। 

আরও পড়ুন

×