ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

দুই-একদিনে পেট্রোল-অকটেন সরবরাহ স্বাভাবিক হবে, দাবি বিপিসির

দুই-একদিনে পেট্রোল-অকটেন সরবরাহ স্বাভাবিক হবে, দাবি বিপিসির

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২ | ০৮:৫৬ | আপডেট: ০৯ মে ২০২২ | ০৮:৫৬

গত সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে পেট্রোল-অকটেনের সংকট দেখা দিলেও পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দাবি করেছে, দেশে পেট্রোল-অকটেনের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। দুই-একদিনের মধ্যে সারাদেশে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিপিসি।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, খুলনার দৌলতপুর হতে পার্বতীপুর ও চট্টগ্রাম হতে রংপুরে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য প্রদানসহ ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে এই ডিপোগুলো থেকে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের অনুকূলে অকটেন ও পেট্রোল চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে। দুই-একদিনেই সারাদেশে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিপিসি।

এতে আরও বলা হয়, বিপিসি তার আওতাধীন তেল বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে অকটেন ও পেট্রোলের মজুদ যথাক্রমে প্রায় ১৯ হাজার ১৪৯ মেট্রিক টন এবং ১৯ হাজার ৩৯৬ মেট্রিক টন। মে ও জুন মাসে ৫০ হাজার টন করে মোট এক লাখ মেট্রিক টন পেট্রোল ও অকটেন আমদানি করা হচ্ছে। সোমবার ২৭ হাজার টন অকটেন নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। ২৫ হাজার টন নিয়ে আরেকটি জাহাজ এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩৬ হাজার ও ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুদ, অমিদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

এদিকে সাতক্ষীরায়ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলার ফুয়েল স্টেশনগুলোতে গত দু'দিন ধরে কোন ধরনের জ্বালানি তেল নেই।

সরেজিমনে উপজেলার বংশীপুর ও চন্ডিপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খালি ড্রাম ফেলে সেখানকার প্রতিটি ফুয়েল স্টেশনের প্রবেশপথ আটকে দেয়া হয়েছে।

এসব ফুয়েল স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা জানান, আগের রাত থেকেই তাদের সব তেল শেষ হয়ে গেছে। ঈদের লম্বা ছুটির ফাঁকে পড়ে ব্যাংক লেনদেন করতে না পারায় তারা জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন

×