ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ছাত্রলীগের অবরোধে চবিতে অচলাবস্থা

ছাত্রলীগের অবরোধে চবিতে অচলাবস্থা

ছবি: সমকাল

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২২ | ০০:০০ | আপডেট: ০১ জুন ২০২২ | ০০:০০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে অবরোধ করছে চবি ছাত্রলীগের একাংশ। প্রতিবাদে শাটল ট্রেন, শিক্ষক বাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন অবরোধকারীরা। এতে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স এর নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদকে ক্যাম্পাসের মাজার গেট এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী ৭/৮ জন কর্মী মারধর করেন। দেশীয় অস্ত্র দ্বারা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ ও ভাঙচুরও করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা জিরো পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখেন।

ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স এর নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় সমকালকে বলেন, আমি রাতে বাইক চালিয়ে এক নম্বর থেকে আসছিলাম। আমার সঙ্গে ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতাও ছিলেন। আমরা ওই রোডে মাদ্রাসার সামনে আসার পর স্পিডব্রেকার ছিল। একটু স্লো করার পর রাস্তার বামপাশ থেকে ৭/৮ ছেলে এসে আমাদের থামায়। একজন আমাকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করতে যায়, আমি সরে যাওয়ায় চোখে লাগে। এরপর আমি গাড়িসহ পড়ে যাই। এরপর ওরা মারতে গেলে আমরা দৌঁড়ে চলে আসি। ওরা দুই রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। পরে আমার জুনিয়ররা গাড়ি নিয়ে আসছিল, তারা আমাদের দৌঁড়াতে দেখে ওদের ধাওয়া করে।’

অবরোধের দাবি নিয়ে প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা হানিফের অনুসারী। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসতে না পারায় কিছু কিছু বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ফতেপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ হানিফ। তিনি সমকালকে জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠে শোনেন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'জনকে মারধরে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

ষোলশহর স্টেশনের সহকারী মাস্টার তন্ময় মজুমদার বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে আমরা ট্রেন বন্ধ রেখেছি। ক্যাম্পাসে সমস্যা হচ্ছে জেনে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্দেশ দিলে আবার ট্রেন চলবে।’

অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নিতে দে বলেন , ‘আমি থিসিসের কাজে এসেছি। না এসেও পারছি না। এখন এসে দেখছি এই অবস্থা। এক নম্বর থেকে বিজ্ঞান অনুষদ হেঁটে যাওয়া অনেক কষ্টকর।’

আরও পড়ুন

×