ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সাধারণ মানুষের টিকে থাকাই কঠিন হবে: ম. তামিম

সাধারণ মানুষের টিকে থাকাই কঠিন হবে: ম. তামিম

অকটেন-পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির খবরে সারাদেশের বিভিন্ন পাম্পের সামনে ভিড় করছেন শত শত মোটরসাইকেল আরোহী- সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২২ | ১১:৫১ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২২ | ১২:৩৯

এক ধাপে অতিমাত্রায় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ম. তামিম। তিনি বলেছেন, ‘অর্থনীতিতে এর প্রতিঘাত অসহনীয় হয়ে উঠবে। করোনার কষাঘাত ও মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতে দরিদ্র মানুষ সীমাহীন কষ্টের মধ্যে আছে। এর মধ্যে অতিমাত্রায় যে দাম বাড়ানো হলো, তার প্রভাবে নিত্যপণ্যসহ পরিবহনের ভাড়া বাড়বে অনেক। যা কল্পনার বাইরে। সাধারণ মানুষের টিকে থাকা কঠিন হবে।’

শুক্রবার রাতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সরকারকে হয়ত দাম বাড়াতে হত। কিন্তু একবারে এত বেশি বাড়ানো যুক্তিসঙ্গত হয়নি। সম্ভাবত, সরকার জ্বালানি তেলের ওপর পুরো ভর্তুকিই তুলে নিয়েছে। দাম কম বৃদ্ধি করে কিছুটা ভর্তুকি সরকার রাখতে পারতো।’

ম. তামিম বলেন, ‘আমার ধারণা, সরকার আইএমএফের ঋণ নেওয়ার জন্য এই বিশাল পরিমাণ দাম বৃদ্ধি করলো। সম্ভাবত আইএমএফের শর্ত ছিল যে, জ্বালানি পণ্যে ভর্তুকি থাকলে তারা ঋণ দেবে না। কিন্তু এক ধাপে প্রায় ৫০ ভাগ দাম বৃদ্ধি কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। অন্যান্য দেশেও তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, তবে এতটা বাড়ানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’

বুয়েটের এই অধ্যাপক পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতে তেলের দাম যখন বিশ্বে কমবে, তখন অবশ্যই সরকারকে দাম কমাতে হবে। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, বিশ্ববাজারে এই পণ্যের দাম বাড়লে দেশে বাড়ানো হয়। যখন কমে, তখন দেশে কমানো হয় না। এর আগে কম দামে আমদানি করে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন) দেশে বেশি দামে বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করেছে। তখন দাম কমানো হয়নি।’

শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেলের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা লিটার। কেরোসিন ১১৪ টাকা লিটার। অকটেন ১৩৫ টাকা লিটার ও পেট্টোল ১৩০ টাকা লিটার।

আরও পড়ুন

×