বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন
মাহবুব তালুকদার লেখক হিসেবেই বেঁচে থাকবেন: সিইসি

ছবি: ফোকাস বাংলা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৫৬ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৫৬
সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কবি ও সাহিত্যিক মাহবুব তালুকদারকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা জানাজা শেষে বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. রুহুল আমিন জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজায় অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, মরহুমের ছেলে শোভন মাহবুব, আত্মীয়-স্বজন, শুভানুধ্যয়ী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমার কাছে তার পরিচয় একজন লেখক হিসেবে। ইতিহাস নিয়ে তিনি বেশ ভালো কিছু লিখেছেন। মাহবুব তালুকদার লেখক হিসেবেই বেঁচে থাকবেন। আপনারা সবাই ওনার জন্য দোয়া করবেন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব তালুকদারের ছেলে কানাডাপ্রবাসী শোভন মাহবুব বলেন, ‘আমার বাবা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কথা ও কাজে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ মাহবুব তালুকদারের মেয়ে আইরিন মাহবুব বলেন, ‘আমার বাবা সবসময় গণমানুষের কথা বলে গেছেন। তিনি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে থেকেছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।’ জানাজা শেষে তার মরদেহে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের একাধিক সিদ্ধান্তে ভিন্নমত ও নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনার মধ্যে আলোচিত মাহবুব তালুকদার গত ২৪ আগষ্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় জন্ম নেওয়া মাহবুব তালুকদার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বিশেষ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহর জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তিনি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়কালে তিনি তার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন গঠিত পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেন মাহবুব তালুকদার।
তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সৃজনশীল লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৪০টি। তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।